পরিবর্তন আসিয়াছে, এবং আসে নাই। অন্তত অসীম দাশগুপ্ত মহাশয় পরিবর্তিত হন নাই। তিনি যখন, সুদীর্ঘ চব্বিশ বৎসর যাবৎ, পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করিয়া ছিলেন, তখন যে ভাবে যাহা বলিতেন, এখন ভূতপূর্ব অর্থমন্ত্রী হিসেবেও তাহা সেই ভাবেই বলিয়া চলিয়াছেন। কেহ কোনও অসুবিধাজনক প্রশ্ন করিলেই সেই ‘ঈষৎ অপেক্ষা করুন, উত্তর দিব’ বলিয়া প্রশ্নকর্তাকে শবরীর প্রতীক্ষায় প্রেরণ করা। সেই ‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’। সেই দুই কোটি এক লক্ষ না এক কোটি নিরানব্বই লক্ষ তাহার চুলচেরা হিসাব। জনশ্রুতি, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সহিত তর্কেও তিনি পরিসংখ্যান এবং অর্থনীতির তত্ত্ব লইয়া এমন সূক্ষবিচার শুরু করিতেন যে প্রতিপক্ষ হাল ছাড়িয়া দিত। আপাতত অবশ্য যাঁহার সহিত তাঁহার সংখ্যার লড়াই চলিতেছে, সেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নিজেও অর্থনীতিতে প্রশিক্ষিত, তদুপরি সুবক্তা। ধোঁয়াশা সৃষ্টি করিয়া তাঁহাকে ভোলানো কঠিন, সংখ্যার আঘাতে সন্ত্রস্ত করা আরও কঠিন। অর্থমন্ত্রী অপেক্ষা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ভূমিকাটিই কি অসীমবাবুর পক্ষে অধিক পীড়াদায়ক হইয়া উঠিল? |