|
|
|
|
লুঠ বহু অস্ত্র |
জঙ্গিদের হানায় হত তিন কম্যান্ডো |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²গুয়াহাটি |
জঙ্গিদমনে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দলকেই আচমকা হানায় তছনছ করে দিল গারো জঙ্গিরা। মারা গেলেন তিন কম্যান্ডো। জখম হয়ে অন্য দু’জন হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে, মেঘালয়ের পূর্ব গারো হিল জেলায়।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের ‘স্পেশাল ওয়েপন অ্যান্ড ট্যাকটিক্স’ (সোয়াট) বাহিনীর একটি টহলদার গাড়ি মেন্দিপথার থেকে দগলের দিকে যাচ্ছিল। তাপাদা রেঞ্চির কাছে আজ সকাল ৬টা নাগাদ জঙ্গিরা গাড়িটিকে আক্রমণ করে। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেওয়ার আগেই হাভিলদার ব্লেইন মাকরো, কনস্টেবল জন হাইবার্থ কে মারাক ও কনস্টেবল ডিউক এম সাংমার দেহ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হন জে জে মোমিন ও কনস্টেবল এম রিম্বাই। জঙ্গিরা নিহত জওয়ানদের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি এলএলআর, একটি ইনস্যাস রাইফেল, একটি কার্বাইন, তিনটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও প্রচুর কার্তুজ লুঠ করে নিয়ে যায়। পূর্ব গারো হিল জেলার জেলাশাসক প্রবীণ বক্সি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর একটি দল এলাকায় জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, জিএনএলএ ও এনডিএফবি জঙ্গি সংগঠনের যৌথভাবে এই আক্রমণ চালায়। জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল ১০ জন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচডিআর লিংডো বলেন, “মনে হচ্ছে পুলিশের দলকে বিভ্রান্ত করতেই ডাকাতির খবর দেওয়া হয়েছিল।” তবে ঘটনার পরে, জিএনএলএ সংগঠনের এরিয়া কম্যান্ডার জানায়, তারা এই ঘটনায় জড়িত নয়। তাদের দাবি, এটি রাভা সিকিওরিটি ফোর্সের কাজ। তবে পুলিশ সেই দাবিকে এখনই গুরুত্ব
দিচ্ছে না। সম্প্রতি, এই এলাকায় বড়ো জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে খবর আসছিল। তাই ঘটনার
সঙ্গে গারো জঙ্গিদের পাশাপাশি, এনডিএফবির যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া
যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, নাগা জঙ্গি সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অরুণাচল প্রদেশে এক খাপলাং সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত কাল খোনসায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এনএসসিএন (আইএম) সংগঠনের তিন জঙ্গি পুমান ওয়াংসা নামে এক খাপলাং জঙ্গিকে হত্যা করে। ওয়াংসার সঙ্গী জি ওয়াংসাও গুলিবিদ্ধ হয়। সে খোনসা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। |
|
|
|
|
|