|
|
|
|
উচ্চ মাধ্যমিকে ত্রিপুরায় প্রথম বাণিজ্যের ছাত্র |
সংবাদসংস্থা ²আগরতলা |
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উচ্চ-মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে আজ। পর্ষদের সভাপতি অমিতাভ দেবরায় জানান, এ বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৯৭৯৮ জন ছাত্রছাত্রী। রেগুলার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪৮৯৭ জন। সব মিলিয়ে ৪৪২ নম্বর পেয়ে এ বছর প্রথম হয়েছেন উমাকান্ত অ্যাকাডেমির বাণিজ্য শাখার ছাত্র মানিক চক্রবর্তী। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভদ্রের দাবি, এ রাজ্যে বাণিজ্য শাখার কোনও ছাত্রের প্রথম হওয়া নজিরবিহীন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ২.৯ শতাংশ পাশের হার বেড়েছে। এ বছর সর্ব মোট পাশের হার হল ৭২.১৩ শতাংশ।
পর্ষদ সভাপতি জানান, এই বছর প্রথম বিভাগে ৮৬৫ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৩৫৪৪ জন ও তৃতীয় বিভাগে ৬৩৩৬ জন পাশ করেছেন। ১১৯২ জন পরীক্ষায় বসেননি। মাত্র ২ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ৩৩ জন বিকলাঙ্গ, ৩ জন অন্ধ এবং ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মোট ৩০০ স্কুলের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলের ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। একটি স্কুলে একজনও পাশ করেনি। সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী বছর মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। |
|
প্রথম স্থানাধিকারী মানিক চক্রবর্তী। উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
এ বার প্রথম দশ জনের তালিকায় মোট ১৪ জন স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে ১০ জনই আগরতলা শহরের। বাকি চার জন মহকুমা এলাকার। শহরের প্রাচীনতম স্কুল উমাকান্ত অ্যাকাডেমি স্কুলে আজ ছিল উৎসবের পরিবেশ। এই স্কুলেরই বাণিজ্য শাখার ছাত্র মানিক চক্রবর্তী এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে নজির সৃষ্টি করলেন। উমাকান্ত স্কুল চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থানও অধিকার করেছে আরও দুটি স্কুলের সঙ্গে যুগ্মভাবে। শহরের আরও দু’টি বনেদি স্কুল শিশুবিহার ও নেতাজি স্কুল থেকে আরও তিনটি করে স্থান পায়। উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার ধর্মনগর হাইস্কুল থেকে তৃতীয় ও পঞ্চম স্থান পায়। তার মধ্যে তৃতীয় স্থানটি যুগ্মভাবে। দক্ষিণ ত্রিপুরার জোলাইবাড়ি ও বাইখোরা স্কুল দুটি স্থান
পায়। বাইখোরা স্কুল থেকে উপজাতি ছাত্র সঞ্জীব মগ ৪১৫ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন। |
|
|
|
|
|