পুলিশ অফিসার সেজে এক ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে আলিপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আশু বিশ্বজিৎ নায়ডু (৩৪)। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা (পূর্ব) কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন আগে একই ভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য বিমানবন্দর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের খাতায় প্রতারক এবং ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ে অভিযুক্ত এক যুবককে কেন প্রার্থী করেছিল বিজেপি? দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বক্তব্য, “ওই যুবক ভোটের মাসখানেক আগে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। তিনি দলের পুরনো সদস্য বা কর্মী নন। দল কোনও প্রার্থীর খরচ দিতে না পারলে, অনেক সময় প্রার্থী নিজের খরচে ভোটে লড়েন। ওই যুবকও নিজের টাকায় ভোটে লড়েছেন।”
ধৃত আশু। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ জানিয়েছে, আশুর বাড়ি নাকতলা এলাকায়। আগে থাকতেন হাওড়ার শিবপুরে। সপ্তাহ খানেক আগে এক বাঙালি ব্যবসায়ীকে ফোন করে আশু নিজেকে সিআইডি অফিসার বলে পরিচয় দেন। ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভবানী ভবনে। মামলাও শুরু করেছে সিআইডি। আশুর কথামতো ভবানী ভবনে যান ব্যবসায়ী। আশু ও তাঁর এক সহকারী তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন দফতরের সামনে ঘোরাঘুরি করেন। আশু বলেন, সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন কোনও ভাবে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি
দেওয়া যায় কি না। পরে ভবানী ভবন চত্বরেই এক ক্যান্টিনে বসে আশু জানান, মামলা প্রত্যাহারের জন্য ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে টাকা না পেয়ে আশু বেশ কয়েক বার গ্রেফতারের হুমকিও দেন ফোনে। ব্যবসায়ী এর পর ভবানী ভবনেই সিআইডি-র দ্বারস্থ হন। দক্ষিণ কলকাতায় শুক্রবার ‘ফাঁদ’ পাতা হয় আশুর জন্য। টাকা আদায়ের সময় সিআইডি আশুকে হাতেনাতে ধরে আলিপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল জানিয়েছেন, দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের জন্য তিনি এখন লখনউয়ে। এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন। ঘটনা সত্য হলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.