রূপায়ণ ভট্টাচার্য, কলকাতা: খালি গায়ের মেহতাব হোসেন দৌড়তে দৌড়তে মাঠে ঢুকে গেলেন। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে সামান্য একটা জয়ধ্বনি উঠেই থেমে গেল। অন্যরা নির্বিকার। মর্গ্যান হাঁটা লাগালেন ড্রেসিংরুমের দিকে। গুপী-বাঘার পাতে আকাশ থেকে মণ্ডা বৃষ্টির মতো রানার্স খেতাবটা ঝুপ করে ইস্টবেঙ্গলের থালায়। তার জয়োৎসব এত রং হীন? হাজার মাইল দূরের দুটো শহর, মারগাও এবং ফাগোয়ারার দুটো ছবি বরং অনেক হৃদয়স্পর্শী। আরও নাটকীয়। বুধবার ভারতীয় ফুটবলের দক্ষিণ দিকে সূর্যোদয়, উত্তর দিকে সূর্যাস্ত। মারগাওতে হ্যাল ফুটবলাররা অনেকটা শ্মশানযাত্রা থেকে বেঁচে উঠলেন ডেম্পোকে ৪-২ অবাক হারিয়ে। কাঁদছিলেন আনন্দে।
রতন চক্রবর্তী, কলকাতা: জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে মোহনবাগান তাঁবুতে ঢুকে ওডাফা ওনিয়েকা ওকোলি বলে দিলেন, “অনেক অনেক ট্রফি দিতেই আমি এখানে এসেছি।” চাতক পাখির মতো দুপুর থেকে অপেক্ষা করে থাকা ট্রফিহীন হাজার খানেক সবুজ-মেরুন জনতার হৃদয়ে যেন ‘পরিবর্তনের ঝড়’ উঠল। হাততালিতে উদ্বেল হয়ে উঠল গোটা চত্বর। ভারতীয় ফুটবলের ‘গোল মেশিন’-এর লাল-চুল ওয়ালা মুখটা যেন হাজার ওয়াটের উজ্জ্বল আলোয় আরও উদ্ভাসিত হল। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটা উপরের দিকে তুললেন ভারতে সর্বকালের অন্যতম সেরা বিদেশি স্ট্রাইকার।
সেই লাল মাটির সম্রাটের মেজাজ নাদালের টেনিসে