খবর এক মুঠো
দিনবদলে হারিয়ে যাচ্ছেন গিদালেরা। বিস্তারিত...

হালুয়াপট্টি নেই, উধাও টাঁড়ার খাজা, মনাক্কাও। বিস্তারিত...

কিছু শহরে ট্রামের ভাবনা কেন্দ্রের, আশায় কলকাতা। বিস্তারিত...

আধুনিকতায় বিপন্ন উত্তরবঙ্গের বিপন্ন রাজবংশী-সংস্কৃতি। বিস্তারিত...

শিবসাগরে অহোম রাজাদের মৈদাম সংরক্ষণে তৎপর কেন্দ্র। বিস্তারিত...

প্রাচীন মেরুভল্লুকই কি ইয়েতির পূর্বসূরি, ইঙ্গিত ব্রিটিশ গবেষণায়। বিস্তারিত...

হাজারদুয়ারি থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে এবং কাটরা মসজিদের পশ্চিম দিকে শহর মুর্শিদাবাদের ফৌতি মসজিদ। মুর্শিদকুলি খাঁর দৌহিত্র নবাব সরফরাজ খাঁ (১৭৩৯-৪০ খ্রিষ্টাব্দ) এই মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু ১৭৪০ খ্রিষ্টাবাদে গিরিয়ার যুদ্ধে তাঁর মৃত্যু হলে ওই মসজিদ অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। মসজিদের দেওয়ালে ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যশৈলীর কারুকাজ রয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের। কিন্তু এই স্থাপত্য পড়ে রয়েছে অবহেলায়।

নিলামে উঠল টিপু সুলতানের তলোয়ার। তার হাতলে বাঘের মুখের নকশা করা। সেই হাতলের গায়েই খোদাই করা রয়েছে তলোয়ারের ইতিহাসও। লেখা রয়েছে, ১৭৯৯ সালে সেরিঙ্গাপত্তমের যুদ্ধক্ষেত্রে টিপু সাহেবের কাছ থেকে তলোয়ারটি পাওয়া গিয়েছে। ওই সেরিঙ্গাপত্তমের যুদ্ধেই ‘মহীশূরের বাঘ’ বলে পরিচিত শাসক টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়েছিল। তলোয়ারটি ছাড়াও টিপু সুলতানের কিছু বন্দুক, হাতে আঁকা ছবি ও যুদ্ধের জিনিসও নিলাম হয়।

সুপ্রাচীন প্রথা মেনে প্রতি বছর লালবাগে অনুষ্ঠিত হয় বেরা উৎসব। দুর্গা পুজো ও ঈদের মুখে ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এই উৎসবকে কেন্দ্র করে রকমারি বাজির আলোয় রঙিন হয়ে ওঠে রাতের আকাশ। ইতিহাস বলছে, উৎসবের শুরু মুর্শিদকুলি খাঁর (১৭০৪-১৭২৭ রাজত্বকাল) আমলে। সে আমলে সারা বছরের সংগৃহীত করের টাকা নদী পথে যেত দিল্লির সুলতানের কাছে। সেই যাত্রার সূচনার সময়ে এই উৎসব হতো। উর্দুবাজার ঘাটে দাঁড়ানো নৌকায় (পাটোয়ালা) বিভিন্ন মালপত্র-সামগ্রী রাখা থাকত আর রাজস্বের সঙ্গে নবাবের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা থাকতেন বজরায়। মুর্শিদকুলি খাঁ ‘মহলসরায়’ ভবন থেকে শোভাযাত্রা করে সেই ঘাটে পৌঁছতেন। ১৫টি মোহর ও ১৫টি সোনার ‘চিরাগ’ সোনার থালায় সাজিয়ে বজরার প্রধানের হাতে তুলে দিয়ে যাত্রার সূচনা করতেন তিনি। ওই বজরার যাত্রা শুরুর মুহূর্তে তোপ দাগা হত। এই উৎসব উপলক্ষে একদা সুবে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদকেই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে রমণীয় ভাবে পরিবেশন করা হতো বলে মনে করেন জেলার ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।

কলকাতা থেকে দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝোতে সরাসরি উড়ান চালু করল স্পাইসজেট। কলকাতা থেকে স্পাইসজেটের প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান এটি। স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়েছে, বাজার সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ এই মুহূর্তে গুয়াংঝো যাচ্ছেন। শহরটি এখন প্রধান বাণিজ্যনগরী হিসেবে উঠে এসেছে। ডিজিসিএ প্রধান অরুণ মিশ্র বলেন, “কলকাতার জন্য আরও একটা সুখবর। এই শীতে কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুরে উড়ান চালু করছে বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। তারাও অনুমতি পেয়েছে।” এখন শুধু কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককে নিয়মিত আন্তর্জাতিক উড়ান চালায় ইন্ডিগো। শুধু গুয়াংঝো নয়, কলকাতা থেকে বাগডোগরায় তাদের দু’টি নতুন উড়ান চালু হচ্ছে। যার মধ্যে একটি সন্ধ্যায়, অন্যটি সকালে। সকালের উড়ানটি কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে উড়ে যায় কাঠমাণ্ডুতে।

ঘাটশিলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গৌরীকুঞ্জ’কে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে ছড়িয়ে থাকা ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকে হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে গৌরীকুঞ্জও। নদী, পাহাড়ে ঘেরা ঘাটশিলায় পর্যটকদের আকর্ষণ গৌরীকুঞ্জও। কয়েক বছর আগে বিভূতিবাবুর বাড়িটি সংস্কার করা হয়। সংস্কারের কাজ শেষের পর তাঁর রচনাগুলির পাণ্ডুলিপি, তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে গৌরীকুঞ্জে একটি সংগ্রহশালা তৈরির চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আর্থিক সঙ্কটে সে কাজ আর এগোয়নি। বিভূতিবাবুর বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এলাকার মানুষই। ‘গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতি’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে তোলেন তারা। প্রতি বছর ২৮ ভাদ্র বিভূতিবাবুর জন্মদিন পালন করে সংগঠনটি।

চন্দ্রকেতুগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে আগ্রহী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আড়াই হাজার বছরের পুরনো চন্দ্রকেতুগড়ের বর্তমান ঠিকানা উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা। এর আগে বহু বার এখানে খননকাজ চললেও সংরক্ষণের নামে বিশেষ কিছুই হয়নি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এখানে একটি সংগ্রহশালা-সহ অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রবীণ চিত্রশিল্পী ও রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনের সভাপতি শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, এটিকেই রাজ্যের অন্যতম চমকপ্রদ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আশুতোষ সংগ্রহশালা থেকে প্রাথমিক ভাবে এখানে বেশ কিছু শিল্প নিদর্শন নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ছাড়াও ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু শিল্প সামগ্রীও এখানে আনা হতে পারে। চন্দ্রকেতুগড়ের শিল্পসামগ্রী কেন্দ্রীয় সংগ্রহশালা বা রাজ্যের কাছে জমা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শুভাপ্রসন্ন। চন্দ্রকেতুগড়ের সংগ্রহশালাটির নকশা করবেন কনজারভেশন আর্কিটেক্ট ও ডব্লিউবিএসসি-র সদস্য পার্থরঞ্জন দাস। সম্প্রতি সংগ্রহশালা গড়ার জন্য দুই একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মেয়ে ও ইতিহাসবিদ উপিন্দর সিংহ, নোবেল জয়ী ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীও এই পরিকল্পনায় উত্সাহ দেখিয়েছেন।

সন্ধে হলে আর হাজির হবে না মনকাড়া গন্ধে ভরপুর ট্রে। তারিয়ে তারিয়ে ফিশ ফ্রাই খাওয়ারও দিন শেষ। হাওড়া রাজধানীতে খাবারের মেনু থেকে বাঙালির সাধের মাছই যে উধাও! রেলের তরফে ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। সেই অনুযায়ী খাবার মহার্ঘ হল দেশের প্রধান তিনটি ‘অভিজাত’ ট্রেনে রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসে। সঙ্গে মেনুতেও এল বেশ কিছু বদল। রেলের মেনু থেকে মাছ কার্যত বিদায় নিয়েছে অনেক দিন। একমাত্র চালু ছিল হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেসের সন্ধের খাবারে, ফিশ ফ্রাই হিসেবে। স্মৃতিবিজড়িত সুস্বাদু পদটিও উধাও! অগত্যা মৎস্যবিলাসী যাত্রীদের এ বার ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ মেটাতে হবে আলু টিক্কা, ভাজা পরোটা বা ভেজ রোল দিয়ে। শুধু তা-ই নয়, ফলের রসেরও পালা শেষ। তার বদলে এসেছে মিল্ক শেক। বদল এসেছে প্রাতরাশের মেনুতেও। এসি-টু ও থ্রি টিয়ারে ব্রেকফাস্ট আর কলা মিলবে না। এসি-ফার্স্ট ক্লাসের প্রাতরাশে আবার জ্যাম-জেলির সঙ্গে বাড়তি প্রাপ্তি মধু। সন্ধেয় শোনপাপড়ির সঙ্গে মাঝে-মধ্যে গোলাপজামুনের দেখা পাওয়া যাবে। তবে রাতের খাবারে স্যালাড বন্ধ। দু’দিনের বেশি সময় ধরে ভ্রমণরত যাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে বিশেষ ‘কম্বো প্যাক’। এতে দিনের প্রথম ও তৃতীয় খাবারের মেনু হবে ভারী। তুলনায় হাল্কা হবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ খাবার। রেল কর্তারা জানান, নতুন মেনু চালিয়ে দেখা হবে যাত্রীরা তা কেমন ভাবে নিচ্ছেন। প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পরে অদলবদল হতে পারে।

কয়েক বছর আগেও পযর্টন কেন্দ্র বলতে চিলাপাতার জঙ্গলের সম্বল ছিল একটিমাত্র বনবাংলো। যার কারণে জলদাপাড়ার সান্নিধ্য থাকলেও পর্যটক টানতে চিলাপাতা কয়েক যোজন পিছিয়েই ছিল। যদিও গত কয়েক বছরে চিলাপাতার সেই ছবি বদলে গিয়েছে। ছ’বছর আগে দু’টি বেসরকারি কটেজ তৈরি হয়। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই পর্যটকদের জঙ্গলে সাফারির অনুমতি মেলে চিলাপাতায়। তার পরেই বদল শুরু চিলাপাতার। বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের টানে চিলাপাতায় পর্যটক বেড়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানেই জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে সাম্প্রতিক কালে একাধিক রিসর্ট তৈরি করা হয়েছে চিলাপাতায়। পর্যটকদের জঙ্গল-সাফারি করানোর জন্য স্থায়ী বেকার যুবকদের গাইডের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। পর্যটকদের সাফারির জন্য বন দফতর দশটি জিপসির ব্যবস্থা করেছে। বন্যপ্রাণী তো আছেই, সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক নলরাজার গড় দেখার সুযোগও মিলবে এই সাফারিতে। আন্দু, কুরমাই, উত্তর মেন্দাবাড়ি, বানিয়া বস্তি, মন্থরাম, কোদাল বস্তি, উত্তর চকোয়াখেতি, বং বস্তির মতো ৮টি এলাকায় ৪০টি কটেজ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পাশাপাশি বানিয়া নদীতে হাউস বোট তৈরি করে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বেজে ওঠে নহবতের সুর। বিগ্রহ জাগিয়ে তোলার রীতি মেনেই নহবতের সুরে ভেসে যায় গোটা মন্দির চত্বর। মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে ১৮৯০ সালে বৈরাগী দিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির তৈরি হয়। ওই বছরের ২১ মার্চ রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন বিগ্রহ মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকেই রীতি মেনে নহবতের সুর মন্দির চত্বরের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে প্রথম দফায় সানাই-নাগরা ও জুড়ির মিলিত সুর বেজে ওঠে। বিগ্রহকে জাগিয়ে তোলার বিশ্বাস মেনে এই প্রথা আজও বদলায়নি। পরে দুই দফায় শিল্পীরা বাদ্যযন্ত্রে সুর তোলেন বিগ্রহের স্নান ও সন্ধ্যা আরতি পর্বে। যা মন্দিরের পরিবেশে ভিন্ন মাত্রা আনে।