হাটখোলাঘাট থেকে ইংলিশ চ্যানেল
সাঁতার কাটতে কাটতে চোখে পড়ল একটা কচ্ছপ পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। মনে হয়েছিল ওটার পিঠে চেপে চলে যাই। ঠান্ডায় হাত পা কেটে কেটে যাচ্ছিল। দশটা জ্বলন্ত উনুন পেটের কাছে থাকলে ভাল হয়— কথাগুলি ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করা প্রথম এশীয় মহিলার। ক্যালেন্ডারে সে দিনের তারিখ ছিল ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯। মাত্র উনিশ বছর বয়সে এই কৃতিত্বের অধিকারির জন্মদিনও এই একই মাসে— ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪০। ইংরেজদের মাটিতে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন যিনি সেই সাঁতারু আরতি সাহা (বিবাহসূত্রে গুপ্ত) সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু কথা এই সংখ্যায়।

ইংলিশ চ্যানেল ও আরতি
১৯৫৮-৬১ সালের মধ্যে মোট ছ’বার ইংলিশ চ্যানেল পারাপার করেছিলেন এশিয়া তথা তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাঁতারু ব্রজেন দাস। ভারতীয় মহিলা হিসেবে কে এই সাঁতার-অভিযানে সক্ষম হবে জানতে চাওয়ায়, তিনি আরতি সাহার নাম সুপারিশ করেন। তত দিনে এ নাম বিশ্ব দরবারে বেশ পরিচিত। কিন্তু কেবলমাত্র নামই যথেষ্ট নয়! প্রয়োজন ছিল প্রায় কুড়ি হাজার টাকা!

দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা অনুশীলন, চাকরি, তার পর টাকার জন্য ঘুরে ঘুরে খালি হাতে ঘরে ফেরা ছিল নিত্যকার ঘটনা। অল ইন্ডিয়া স্পোর্টস কাউন্সিল-এর সদস্য পঙ্কজ গুপ্ত আরতিকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য পাঠালেন। চ্যানেল পার হওয়ার কথা শুনে তিনি বলেছিলেন, “ইংলিশ চ্যানেল চোখে দেখেছ! পার হবে বলছ?” পরে অবশ্য আরতির মাথায় হাত রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সকালে টাকা পৌঁছে যাবে। হাসি মুখে ফিরতে পারবে তো মা?” আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন জওহরলাল নেহরু, মিহির সেন, প্রফুল্লচন্দ্র সেন, অতুল্য ঘোষ, সমাজসেবী শম্ভুনাথ মুখোপাধ্যায় (যিনি তাঁর পেনশনের সমস্ত টাকা দিয়েছিলেন) ও চিকিৎসক অরুণ গুপ্ত।
২৭ অগস্ট, ১৯৫৯— শুরুতেই গণ্ডগোল! প্রায় চল্লিশ মিনিট দেরিতে ন্যাভিগেশন বোট আসে। কিন্তু তা দমিয়ে রাখতে পারেনি আরতিকে। ১৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট সাঁতার কাটার পরে গন্তব্যে পৌঁছতে তখন বাকি মাত্র ৩ মাইল। বোটম্যান ঘুরপথে নিয়ে গেলে আরতি স্রোতের বিপরীতে পড়ে যায়। তাঁর পাশে তখন সাঁতার কাটছেন ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকের সোনাজয়ী সাঁতারু গ্রেটা অ্যান্ডারসন। স্রোতের মুখে আর এগোতে পারছেন না দেখে বোটম্যান আরতিকে ছুঁয়ে দেন— নিয়মানুয়াযী কেউ সাঁতারুকে স্পর্শ করলে তিনি বাতিল হয়ে যান।

২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯— সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল পারাপার করলেন আরতি সাহা, ১৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটে— ফ্রান্সের কেপ গ্রিস নে থেকে ইংল্যান্ডের স্যান্ডগেট। ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে জলে নেমে আঁকাবাঁকা পথে ৪২ মাইল পথ অতিক্রম করতে হয়। ক্যাপ্টেন হার্টিনসন গাইড হিসেবে তাঁর জীবনে প্রথম কোনও মহিলাকে পথ দেখাচ্ছিলেন। চ্যানেলের একটি বন্দর ফকস্টোন থেকে ৫ মাইল দূরে স্যান্ডগেটে বোট থেমে গেলেও নিয়ম অনুযায়ী আরও ১০ গজ হেঁটে যেতে হয় প্রতিযোগীদের। অবশেষে সাফল্য পান আরতি সাহা।

শৈশব ও সাঁতারের শুরু
ঘরোয়া সাজে... স্বামী অরুণ গুপ্তের সঙ্গে
মাত্র আড়াই বছর বয়সে মাকে হারিয়েছিলেন আরতি সাহা। বাবা পাঁচুগোপাল সাহা চাকরি করতেন সেনা বিভাগে। মায়ের মৃত্যুর পর বোন ও দাদা মামারবাড়িতে চলে গেলেও ছোট্ট আরতি থেকে যায় উত্তর কলকাতার সাহাবাড়িতে, ঠাকুমার কাছে।

চার বছর বয়স থেকেই কাকা বিশ্বনাথের সঙ্গে প্রতি দিন চাঁপাতলার ঘাটে স্নান করতে যেতেন আরতি। জলের নেশা তখন থেকেই। মেয়ের উৎসাহ দেখে বাবা তাকে হাটখোলা সুইমিং ক্লাবে ভর্তি করে দিলেন। এক বছর পরে শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১১০ গজ ফ্রি-স্টাইলে প্রথম হলেন আরতি। স্বর্ণজয়ী সাঁতারু গুরু শচীন নাগের কোলে চড়েই পুরস্কার আনতে গিয়েছিলেন ছোট্ট মেয়েটি। প্রতিযোগিতামূলক সাঁতারের শুরু এখান থেকেই। এর পর ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। বিদেশের মাটিতেও তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫২তে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে সাঁতারু ডলি নাজিরের সঙ্গে আরতি ছিলেন ভারতের সর্ব কনিষ্ঠ প্রতিনিধি।

আরতি সাহা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন সিটি কলেজ থেকে। এর পর ১৯৫৯ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক অরুণ গুপ্তের সঙ্গে প্রথমে রেজিস্ট্রি ও পরে সামাজিক বিবাহ হয়। তাঁদের এক মাত্র কন্যা অর্চনা গুপ্ত। আরতি তখন দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ১৪২.৫০ টাকার মাস মাইনের চাকরি করেন। বিশ্বখ্যাত এই সাঁতারু ভালবাসতেন ঘরোয়া করে শাড়ি পরতে। কপালে বড় লাল টিপ, নাকে নাকছাবি, গায়ে গয়না— সাধারণ বাঙালি বধূর এই রূপ ছিল তাঁর খুবই প্রিয়। উত্তর কলকাতার তারক চ্যাটার্জি লেনের শ্বশুরবাড়ির এলাকাতেই ছিল সাহাবাড়ি।

জন্ডিস ও এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে উনিশ দিন কলকাতার একটি নাসিংহোমে ভর্তি ছিলেন আরতি সাহা। ১৯৯৪ সালের ২৩ অগস্ট, মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। একটি আবক্ষ মূর্তি আছে তাঁর, বাড়ির কাছেই।

সম্মান
১৯৪৮: মুম্বইতে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ও ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে রুপো এবং ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে ব্রোঞ্জ।
১৯৫১: ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে আরতির গড়া রেকর্ড দু’যুগেরও বেশি অটুট ছিল।
১৯৫৬: বেঙ্গালুরুতে ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ও ৪০০ মিটার রিলেতে সোনা।
আমস্টারডাম অলিম্পিকে (১৯২৮) জাপানের কিনুয়ে হিতোমির ৮০০ মিটার দৌড়ে রুপো জেতাটাই ছিল আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও এশীয় মহিলার একমাত্র সাফল্য। এর পরে উঠে আসে আরতি সাহার নাম।
অলিম্পিক থেকে ফেরার পরে আরতির বোন ভারতী ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে আরতিকে হারিয়ে দেওয়ায় আরতি ফ্রি-স্টাইল ছেড়ে ব্রেস্ট স্ট্রোকে মন দেন।
ন্যাশনাল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য ছিলেন।
১৯৬০: প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন।
১৯৫৯: ইংলিশ চ্যানেল পারাপারের পর প্রথম শুভেচ্ছা আসে বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের কাছ থেকে।
আরতি সাহা ও স্বামী অরুণ গুপ্তকে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দিল্লির তিনমূর্তি ভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে এক বার দেখা হলে প্রাতরাশে নিমন্ত্রণ জানান নেহরু।
১৯৯৯: তিন টাকা মূল্যের ডাক টিকিট প্রকাশ করা হয় আরতি সাহার নামে।

স্মৃতিচারণ
অর্চনা গুপ্ত (কন্যা)
‘সেলিব্রেটি মা’ হিসেবে বাড়িতে কোনও দিন আমার মা-কে দেখিনি। আর পাঁচ জন মা যেমন বাড়িতে মেয়েকে পড়ান, রান্না করেন, পরিবারের দেখভাল করেন— তেমনই দেখতাম আমার মাকে। উনি চাকরি করতেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে। মা যে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া সাঁতারে ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়া প্রথম মহিলা, তা জানতে পেরেছিলাম আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছ থেকে। কারণ আমাদের পারিবারিক আবহাওয়া ছিল একেবারে ঘরোয়া। অফিস থেকে মা যখন দল নিয়ে কোনও প্রতিযোগিতায় যেতেন তখন বুঝতে পারতাম আমার মা বিশেষ কেউ। সঙ্গে না গেলে ‘মিস’ করতাম মাকে। আবার কোনও সময় মায়ের সঙ্গে গেলে খুব আনন্দে দিন কাটাতাম। এ ভাবেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। মায়ের সমকালীন দিলীপ মিত্র, বিমলকুমার চন্দ্র, ব্রজেন দাস যাঁরা সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন তাঁরাও যেতেন। কখনও অ্যান্ডারসন ক্লাবে, কখনও বেলেঘাটা আবার কখনও বা কলেজ স্কোয়্যারের প্রতিযোগিতায় দেখতাম মা পুরস্কার দিচ্ছেন কিংবা বিচারকের আসনে। অ্যান্ডারসন ক্লাবের ওয়াটার ব্যালে দেখতে আমার খুব ভাল লাগত।


পশুপতি কুণ্ডু (কোচ)
বিধানচন্দ্র রায়ের (১৯৫৯) আমলে আরতিদি ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিলেন। তখন আমি বছর আটেকের। থাকি আমি শ্রীরামপুরে। এখানকার গঙ্গায় হুগলি ব্রিজ থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত লং ডিস্ট্যান্সের সাঁতার প্রতিযোগিতা হতো। ওঁকে প্রথম দেখি ওই ২০-২২ কিলোমিটারের প্রতিযোগিতায় সাঁতার কাটতে। কলকাতায় সাঁতারের উওম্যান ফেস্টিভ্যাল হতো সেখানেও বিচারকের আসনে দেখেছি। এক বার বেলেঘাটার একটি প্রতিযোগিতায় আমি বুলা চৌধুরীকে নিয়ে গিয়েছিলাম। যে দক্ষতা বুলা সে দিন দেখিয়েছিলেন তাতে আরতিদি উঠে এসে বলেছিলেন, “যেমন গুরু তেমন শিষ্য।” অত্যন্ত নিরহঙ্কারী শান্ত মানুষ ছিলেন।


বুলা চৌধুরী (সাঁতারু)
আরতিদি সম্বন্ধে কিছু বলার জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করছি। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ওঁর নাম। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ওঁর সঙ্গে দেখা করার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের স্পোর্টস অফিসার হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আমার স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীও ওই অফিসে চাকরি করায় সেই সূত্র ধরে দেখা হতো। আমার সঙ্গে আরতিদির দেখা আশির দশকে, ওঁর অবসর নেওয়ার সময়কালে। আমার তখন সবে কেরিয়ার শুরু হচ্ছে। সেই অর্থে উনি আমার অনুপ্রেরণা। ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া কিংবদন্তী ভারতীয় মহিলা যিনি প্রথম ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত, তাঁকে দেখছি সাঁতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, পুরস্কার দিচ্ছেন। যে কোনও ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় নাম উঠে আসছে এশিয়ার ওই মহান ব্যক্তিত্বের। যে সময় উনি ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিলেন তখন প্রযুক্তি তত উন্নত ছিল না। শত বাধা অতিক্রম করে সুইমিং কস্টিউম পরে বিদেশে গিয়ে যে সাহস উনি দেখিয়েছেন তাতে আমি ওঁকে স্যালুট জানাই। অত্যন্ত সাধাসিধে আরতিদিকে যখন আমি দেখেছি তখন উনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে হাত তুলতে পারতেন না।


সঞ্জীব চক্রবর্তী (কোচ)
১৯৮০-তে আরতিদিকে প্রথম দেখি। আমি চাকরির সুবাদে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে স্পোর্টস বিভাগে যুক্ত ছিলাম। ওখানে ওঁকে দেখে খুব রোমাঞ্চিত হই। যে চেয়ার থেকে উনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন সেই চেয়ারে এখন আমি বসি। এই জন্য আমি খুবই গর্বিত। আরতিদি আমার প্রেরণা ছিলেন। আমি তখন নতুন। মনে হতো আমিও যেন ওঁর মতো হতে পারি। খুব উৎসাহ দিতেন। যখন আমি সাঁতারে বিভিন্ন রেকর্ড করছি, বার বার বলতেন অনেক পরিশ্রম করতে হবে। উনি আমাকে ভাই বলতেন। ছুটির পরে নিজের গাড়িতে কিছুটা পথ এগিয়েও দিতেন আমাকে। আর পথে যদি কোনও মিষ্টির দোকান পড়ে, তা হলে অবশ্যই কিনে খাওয়াতেন ও খেতেন। মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসতেন। করতেন নানা গল্প। হেদুয়ায় প্র্যাকটিস করেই উনি অলিম্পিকে গিয়েছিলেন। অর্থ না থাকায় জাহাজে করেই লন্ডন গিয়েছিলেন। ওঁর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিজে ঠান্ডা জলে বসে অভ্যস্থ হতেন। আমাকে বলতেন বুলা যেন ঠান্ডা জলে বসে নিজেকে অভ্যস্থ করে। গয়না পরতে ভালবাসতেন খুব।


মাসাদুর রহমান (সাঁতারু)
এশিয়ার প্রথম মহিলা পদ্মশ্রী আরতি সাহা ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯-এ ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিলেন। পরে উনি সদস্য হয়েছিলেন স্পোর্টস কাউন্সিলের। কোনও প্রযুক্তি ছাড়াই, যে সাহসের সঙ্গে, অনেক বাধাবিপত্তির মধ্যে সেই সময় যে দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন সে ক্ষেত্রে উনি আমার পথপ্রদর্শক। এর আগে মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছেন। তাই ওঁদের অনুসরণ না করলে আজ আমি মাসাদুর রহমান হতে পারতাম না। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি দীর্ঘ জলপথের নানা রূপ, জলের তাপমাত্রা ইত্যাদি। সেই সময় এই সব সাহায্য ওঁরা পাননি। দুর্গম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আরতিদি যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন তা কোনও দিনই মুছে যাওয়ার নয়।

তথ্য ও সাক্ষাৎকার: পাপিয়া মিত্র।
 
 

 

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

 
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.