দিন আসে, দিন যায়, তার ফাঁকেই ইতিহাসে ঢুকে পড়ে তার চলাচলের খবর। পুরনো দিনের শহুরে খবর দিয়ে চেনা যায় এখনকার
অতি পরিচিত শহরের অতীতটাকে, তার নাগরিক জীবনযাপন থেকে খেলাধুলো, সংস্কৃতি বা কূটকচালি থেকে রাজনীতির হাল।
পঞ্চাশ বছর আগের কলকাতা শহরের গতিবিধি চিনতে ২০ নভেম্বর ১৯৬৩ থেকে ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩ এক মাসের কিছু বিশেষ খবর।

শুক্রবার ৫ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (১ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) FRIDAY, 22 NOVEMBER, 1963
• কলিকাতায় সোভিয়েট মহাকাশচারীদের উচ্ছ্বসিত সম্বর্ধনা: শহর কলিকাতায় দুইদিনের জন্য পা দিয়াই রুশ মহাকাশচারীরা বৃহস্পতিবার বিপুল সম্বর্ধনা লাভ করেন। লেঃ কর্ণেল বিরোভস্কি, মেজর নিকোলায়েভ এবং শ্রীমতী নিকোলায়েভ (তেরেস্কোভা) দলের এই তিনজনের মধ্যে অবশ্যপ্রথম মহাকাশচারিণী ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভাই সকলের দৃষ্টি সর্বাধিক আকর্ষণ করেন। সকালে তাঁহারা দমদমে বিমানের বাহিরে নামিতেই জনতার এক অংশ পুলিশের কর্ডন ভাঙ্গিয়া অভ্যর্থনা জানাইতে ছুটিয়া যান। অপরাহ্নে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে মহিলাদের এক সমাবেশে হাজার হাজার নারী হর্ষধ্বনি দিয়া মহাকাশচারীদের স্বাগত জানান।
কলিকাতায় ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভার সম্বর্ধনা সভা।
সন্ধ্যায় নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনের চৌদ্দতলার ছাদে রাজ্য সরকার আয়োজিত এক প্রীতি সম্মেলনে তাঁহাদের সঙ্গে বিশিষ্ট নাগরিকদের পরিচয় করাইয়া দেওয়া হয়। তাহার পর রুশ রাষ্ট্রীয় অতিথিরা ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের এক অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেন। দমদমে, পথে, সভায় সর্বত্র কলিকাতার নাগরিকদের এই উচ্ছ্বসিত, স্বতঃস্ফূর্ত অভিনন্দন অতিথিদের অভিভূত করে। তাঁহারা বলেন, এমন অভ্যর্থনা কোথাও পান নাই।

শুক্রবার ৫ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (১ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) FRIDAY, 22 NOVEMBER, 1963
• ক্রেতা-প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া, কলিকাতা ও হাওড়ার বহু দোকান বন্ধ: ক্রেতা প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ বৃহস্পতিবার হাওড়াসহ মহানগরীর অধিকাংশ তেলকল, মুদিখানা এবং বড় বড় মিষ্টি ও কাপড়ের দোকান বন্ধ থাকে। হঠাত্ দোকানপাট বিশেষ করিয়া মুদিখানা বন্ধ থাকায় জনসাধারণকে অশেষ দুর্গতি পোহাতেই হয়। তেলকল সমিতি সরকার কর্তৃক সরিষার তেলের মূল্য বাঁধিয়া না দেওয়া পর্যন্ত তেল কলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। গোলাদারী ব্যবসায়ী সমিতি ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত করেন। বৃহস্পতিবার কোন কোন মুদিখানার ক্রেতারা কম দামে তেল ও অন্যান্য জিনিস দাবি করে। দক্ষিণ কলিকাতার এক হোটেলে সস্তায় ভাত, হাওড়ার বাজারে কম দরে ডিম ও ফুলকফির জন্যও দাবি জানান হয়। এই দিন মুদিখানা হঠাত্ বন্ধ রাখার বহু নাগরিক বিপন্ন হইয়া পড়েন। অনেকে তেল, নুন, চাল, আটা সংগ্রহ করিতে না পারিয়া বিপাকে পড়েন। কাঁচা সব্জীর বাজারেও টান পড়ে। আলুর পাইকারী বাজারে বিশেষ বেচাকেনা হয় নাই। সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন বাজারে আলুর সরবরাহ কমিয়া যায়। সরিষার পাইকারী বাজারেও বেচাকেনা প্রায় ছিল না।

মঙ্গলবার ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) TUESDAY, 26 NOVEMBER, 1963
• কলিকাতা বন্দরের মেরিন সার্ভিস পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব: কলিকাতা বন্দরের মেরিন সার্ভিস পুনর্বিন্যাসের একটি প্রস্তাব উঠিয়াছে। সহকারী হারবার মাস্টার এবং পাইলটগণের পক্ষ হইতে ইহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান হইতেছে বলিয়া জানা যায়। ঐ পুনর্বিন্যাস প্রস্তাবে সহকারী হারবার মাস্টার এবং হুগলী পাইলট সার্ভিস গঠনের কথা বলা হইয়াছে। এই বিভাগটি থাকিবে একজন “ডাইরেক্টর অব মেরিণ ডিপার্টমেন্টে”র অধীনে। কলিকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে হুগলী পাইলট এবং সহকারী হারবার মাস্টার সমিতি দুইটির নিকট এই প্রস্তাব পাঠান হইয়াছিল। গত ১৮ই নভেম্বর উভয় সমিতি এক যুক্ত বৈঠকের পরে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলিয়া জানাইয়া দিয়াছেন। সোমবার সহকারী মাস্টারগণের এক মুখপাত্র বলেন, তাঁহারা বর্তমানে গার্ডেনরীচ হইতে হাওড়া পুল পর্যন্ত জাহাজ লইয়া আসেন, পাইলটগণ গার্ডেনরীচ হইতে সাগর মোহনায় জাহাজ লইয়া যান। উভয় সার্ভিসকে একীভূত করিলে একে অন্যের কাজ করিতে বিশেষ অসুবিধা বোধ করিবেন। ইহা ছাড়া তাঁহারা স্বতন্ত্র বিভাগস্বরূপে পুনর্বিন্যাস চাহিয়াছিলেন।


আমরা যাতে স্কুল থেকে না
পালাই সেজন্যই এই ব্যবস্থা।

—আগুন লেগেছে? আচ্ছা
এখনই তদন্ত কমিটি বসাচ্ছি।

—প্রশাসনিক ঢিলেমীর বিরূদ্ধে
আমাদের যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

মঙ্গলবার ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) TUESDAY, 26 NOVEMBER, 1963
• কলিকাতার মার্কিন দূতাবাসে প্রার্থনা সভা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট শ্রী কেনেডির স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে সোমবার কলিকাতায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারী অফিসগুলি বন্ধ থাকে। ইহা ছাড়াও ঐদিন কলিকাতার সমূদয় স্কুল, কলেজ এবং সওদাগরী সংস্থাগুলি ছুটি থাকে। এইদিন হ্যারিংটন স্ট্রীটস্থ মার্কিন দূতাবাসে এক প্রার্থনা সভায় প্রেসিডেন্ট কেনেডির কর্মদীপ্ত জীবনের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পিত হয়। কলিকাতাস্থ মার্কিন নাগরিকবৃন্দ, মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারীগণ, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সদস্যগণ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উক্ত বিশেষ প্রার্থনা সভায় যোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন মেয়র শ্রীচিত্তরঞ্জন চ্যাটার্জি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রীপ্রফুল্ল সেন, কারামন্ত্রী শ্রীপূরবী মুখার্জি, স্পীকার শ্রীকেশবচন্দ্র বসু, রাজ্য সরকারের চীফ সেক্রেটারী শ্রী আর গুপ্ত এবং রাজ্যপালের সেক্রেটারী শ্রী এস মুখার্জি প্রভৃতি।

মঙ্গলবার ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) TUESDAY, 26 NOVEMBER, 1963
• কলিকাতার বাজারের অবস্থা: রবিবারও কলিকাতার বাজারে পুরাপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আসে নাই। তেলকলগুলি রবিবার হইতে খুলিবে বলিয়া সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলেও সব তেলকল ঐ দিন খোলে নাই। কারণস্বরূপ বলা হয় যে, তাঁহারা এই সুযোগে যন্ত্রপাতিগুলি খুলিয়া মেরামত করিতেছেন। কয়েকটি বড় বড় তেলকলোর মালিকের সহিত যোগাযোগ করিলে তাঁহারা জানান যে, আগামী মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীপ্রফুল্লচন্দ্র সেনের সহিত পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর তাঁহারা মিল চালু করিবেন। আমাদের দক্ষিণ শহরতলীর সংবাদদাতা জানান যে, ঐ এলাকার কয়েকটি তেলকল শনিবার বিকালের দিকে খুলিয়াছে। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি বলিয়া বন্ধ থাকে। তবে, আজ সোমবার হইতে ঐ অঞ্চলের সব তেলকল খুলিবে বলিয়া জানা যায়।

মঙ্গলবার ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) TUESDAY, 26 NOVEMBER, 1963

ধর্মঘট হয়নি কেবল হবে
বলে হুমকি দিয়েছিল।
• প্রস্তাবিত পৌরকর্মী ধর্মঘট স্থগিতের সম্ভাবনা: আজ মঙ্গলবার রাত্রি বারটার পর হইতে কলিকাতা কর্পোরেশনের সকল বিভাগে যে ধর্মঘট শুরু হওয়ার কথা ছিল, তাহা বোধ হয় শেষ পর্যন্ত কার্যকরী হইবে না। সোমবার বিকালে পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে এই ধর্মঘট সম্পর্কে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরিয়া আলোচনা চলে। আলোচনার শেষে মেয়র শ্রীচিত্তরঞ্জন চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের জানান আপোষ নিস্পত্তির সম্ভাবনা অনেকটা উজ্জ্বল হইয়াছে। তিনি বলেন, এই ধর্মঘটের ব্যাপারে রাজ্য শ্রমমন্ত্রী শ্রীবিজয় সিং নাহারের সহিত তাঁর আলোচনা হইয়াছে। শ্রমমন্ত্রী শ্রী নাহার এইরূপ অভিমত প্রাকশ করিয়াছেন যে, ধর্মঘটের নোটিশ আরও এক মাস পিছাইয়া দিলে সরকার কর্মচারীদের দাবি সম্পর্কে বিচার-বিবেচনা করিয়া দেখিতে পারেন। কর্মচারী প্রতিনিধিদের নিকটও তিনি একই রূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন।

বৃহস্পতিবার ১১ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৭ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) THURSDAY, 28 NOVEMBER, 1963
• যে যাই বলুক, মাছের বাজারে যথাপূর্ব হাল: এনফোর্সমেন্ট পুলিশের মতে, বুধবার কলিকাতার মাছের বাজারে কেহ আইন লঙ্ঘন করে নাই, ভেড়ি হইতেও আগের দিনের চাইতে বেশি মাছ সরবরাহ আসিয়াছে। মাছ যাঁহারা আমদানী করেন তাঁহাদের মতে হাওড়ায় পূর্ব দিনের সমানই মাছ আমদানী হইয়াছে এবং শিয়ালদহে প্রায় চারশ মন মাছ বেশি আসিয়াছে। কিন্তু যে যাহাই বলুক, বুধবার কলিকাতার মাছের বাজারে বিশেষ কোন পরিবর্তন ক্রেতাদের নজরে আসে নাই। আগের দিনের মতই চাহিদার চাইতে যোগান অনেক কম, বড় মাছ নাই বলিলেই চলে। কেবল কুচো মাছ — এবং তাহাও যথেষ্ট পরিমাণে নয়। আমাদের দক্ষিণ শহরতলীর সংবাদদাতা জানান, ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণাঞ্চলে মাছের ভেড়িগুলি হইতে ঐদিন অনেক বেশী পরিমাণ মাছ তোলা হইয়াছে বলিয়া দাবি করা হয়। পুলিসের মতে দক্ষিণ কলিকাতার মাছের বাজারেও কেহ আইন লঙ্ঘন করে নাই। কিন্তু তত্সত্ত্বেও ঐদিন ঐ অঞ্চলের বাজারগুলির অবস্থার বিশেষ তারতম্য দেখা যায় নাই।

—আপনি মাছ যোগাড় করছেন,
আমি সরষের তেল জোগাড়
করেছি, আসুন দুজনে মিলে......

বৃহস্পতিবার ১১ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (৭ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শকাব্দ) THURSDAY, 28 NOVEMBER, 1963
• কলিকাতায় সোনার দর তোলা প্রতি প্রায় তিন টাকা হ্রাস: স্বর্ণালঙ্কারের সর্বোচ্চ পরিমাণ বাঁধিয়া দেওয়ার ব্যবস্থার কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কলিকাতায় সোনার দর তোলা প্রতি প্রায় তিন টাকা কমিয়া যায়। মঙ্গলবার কলিকাতায় প্রতি তোলা ১৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল প্রায় ৭৪ টাকা, বুধবার ঐ দর ৭০ টাকা ৫০ নয়া পয়সার মত দাঁড়ায়। পাকা সোনার মূল্যও ঐ অনুপাতে হ্রাস পাইয়াছে বলিয়া সংশ্লিষ্ট মহলে শোনা গেল। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশী সোনার গহনা থাকিলে তাহা ঘোষণার জন্য সরকার যাহাতে যে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে নির্দেশ দিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী টি টি কৃষ্ণমাচারী লোকসভায় একটি বিল আনেন। বুধবার কলিকাতার স্বর্ণশিল্পী, স্বর্ণব্যবসায়ী এবং গহনা দোকানের মালিকগণের এক বৃহত্ অংশ এই বিলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জল্পনা কল্পনা করেন। স্থানীয় স্বর্ণ-নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানান, এ সম্পর্কে এখনও তাঁহাদের বলার মত কিছু নাই। সরকার ব্যকিতগত সোনার মজুতের পরিমাণের ন্যায় স্বর্ণালঙ্কারের সীমাও বাঁধিয়া দিতে চান।

দেশবন্ধু পার্কের একটি মিটিং-য়ে লাল বাহাদুর শ্স্ত্রী,
অতুল্য ঘোষ-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা। আনন্দ চিত্র।

শুক্রবার, ১২ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ FRIDAY, NOVEMBER 29, 1963
• মাছের সরবরাহের উন্নতি কল্পে সরকার কর্তৃ্ক কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বনের উদ্যোগ: মাছের বাজারে সরবরাহের উন্নতির আশায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনের জাল আরও শক্ত করিতে উদ্যোগী হইয়াছেন। বৃহস্পতিবার এক নূতন আদেশ জারি করিয়া সরকার ঘোষনা করেন যে, মত্স্যব্যবসায়ীদের যে সম্পত্তির ক্ষেত্রে ‘লাইসেন্সিং অর্ডার’ ভঙ্গের অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হইবে, সেই সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন। আইনজ্ঞ মহলের মতে – এই নূতণ আদেশ চালু হইলে লাইসেন্সিং অর্ডার আমান্যকারী ব্যবসায়ীদের মাছ এমন কি ‘ভেড়ী’ প্রভৃতি মত্স্যচাষ কেন্দ্রও বাজেয়াপ্ত হইতে পারে।

মঙ্গলবার, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ TUESDAY, DECEMBER 3, 1963

একটু সবুর কর।
ধান সব পেকে এসেছে।
• নূতন চাউল: কলিকাতার বাজারে নূতণ চাল দেখা দিয়াছে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে পূর্ব ঘোষিত চুক্তি অনুসারে সোমবার হইতে ৭৫ নঃ পঃ কিলো দরে নূতণ চাল বিক্রি শুরু হয়। ঐদিন সন্ধ্যার দিকে কয়েকটি বাজারে খুচরা চালের দোকানে ৭৫ নঃ পঃ দামের চাল দেখা গেল। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ লইয়া জানা যায়, এই চালের প্রতি ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ দেখা যাইতেছে না। তাঁহারা তিনটি কারন দিলেন
(১) কয়েক সপ্তাহ পরে আরও কম দরে চাল পাওয়া যাইবে সুতরাং এখন বেশী কিনিয়া কি লাভ। অল্প স্বল্প কিনিয়া চালাইবার ঝোঁকই প্রধান।
(২) এ সময় কলিকাতায় নূতন চাল বিশেষ চলে না।
(৩) আসন্ন আমন চালের দিকে অনেকে তাকাইয়া আছেন।

এসে্স আমিই
মিশিয়ে দিই

শুক্রবার, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (১৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) FRIDAY, DECEMBER 6, 1963
• ৩৪ কিলো বেআইনী সোনা উদ্ধার: শুল্ক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার দমদম বিমানবন্দরে ফ্রাঙ্কফুর্ট হইতে আগত একজন জার্মান নাগরিকের দেহ তল্লাশি করিয়া ৩৪ কিলো বেআইনী সোনা উদ্ধার করিয়াছেন। ইহার মূল্য ৭ লক্ষ টাকারও বেশী। যাত্রীটিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হইয়াছে। আমাদের বিমানবন্দরস্থ সংবাদদাতা এই খবর দিয়া আরও জানাইতেছেন: সাম্প্রতিককালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এত বেশী বেআইনী সোনা ধরিতে পারেন নাই। স্বর্ণনিয়ন্ত্রণ চালু হইবার পর এই ধরণের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটিল। গত মার্চ মাসে এক বিমানযাত্রীর নিকট হইতে ১৩ তোলা সোনা পাওয়া গিয়াছিল। পশ্চিমবঙ্গ শুল্ক কর্মচারীরাও বোম্বাই হইতে আই এ সি বিমানে কলিকাতায় আগত এক যাত্রীর নিকট হইতে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের বেআইনী সোনা উদ্ধার করিয়াছিলেন। মূল্যবান রত্নও বেআইনীভাবে আনার হিড়িক গত জানুয়ারীর— অর্থাত্ স্বর্ণ নিয়ত্রণ চালু হইবার পর— বাড়িয়াছে।

শুক্রবার, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (১৫ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) FRIDAY, DECEMBER 6, 1963
• কলিকাতার জন্য দশ কোটি টাকা: অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী বি আর ভগত্ আজ প্রশ্নোত্তরের সময় লোকসভায় জানান যে তৃতীয় যোজনাকালে বৃহত্তর কলিকাতার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১০ কোটি মঞ্জুর করিয়াছেন। তিনি আরও জানান যে বৃহত্তর কলিকাতার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক গঠিত কলিকাতা মেট্রোপলিটান পরিকল্পনা সংস্থা কতকগুলি প্রকল্প রচনা করিতেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত গ্যাস ও জল সরবরাহ সম্পর্কিত প্রকল্প পাইয়াছেন। মন্ত্রীমহোদয় বলেন যে, কলিকাতায় বিশেষ কতকগুলি সমস্যা রহিয়াছে, তাই কেন্দ্র আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন। তিনি আরও বলেন যে, ভারতের বিভিন্ন শহর ও নগরের উন্নয়নের জন্য চতুর্থ যোজনায় অর্থ বরাদ্দ করা হইবে। শ্রী পি ডি হিম্মতসিংকা (কংগ্রেস) বলেন যে, সবদিক দিয়াই কলিকাতা শহরের চূড়ান্ত অবনতি ঘটিয়াছে। সুতরাং উহার উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সাহায্য করা উচিত কিনা তিনি তাহা জানিতে চাহেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ THURSDAY, DEC. 12, 1963
• কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ: বুধবার উচ্ছেদের মামলায় হারিয়া কলেজ স্কোয়ারস্থিত একটি নামকরা বইয়ের দোকান উহার প্রায় সর্বস্ব খোয়ায়।
অভিযোগের বিবরণে আরও প্রকাশ যে, উচ্ছেদের মামলায় বাড়ীয় মালিক ডিক্রী পাইয়া বুধবার দুপুরে ঐ দোকানঘরের অধিকার লন। আসবাবপত্র সহ ঐ দোকানের সমস্ত বই ফুটপাত ও রাস্তায় বাহির করিয়া ফেলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় ও ফুটপাতে হাজার হাজার বই স্তূপাকার হইয়া পড়িয়া থাকে। সন্ধ্যার সময় পুলিশ চলিয়া যায়। দোকানের একজন দারোয়ান অবশ্য ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকার একটু ঘনাইয়া আসিতেই ভীড় জমিতে থাকে এবং দেখিতে দেখিতে কলেজ স্কোয়ারের পূবদিকের রাস্তা জনারণ্যে পরিণত হয়। এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত এই ভীড়ের সুযোগ লইয়া লুটপাট শুরু করিয়া দেয়।

শুক্রবার, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০ (২২ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) FRIDAY, DECEMBER 13, 1963
• মোহনবাগান চতুর্থবার ডুরাণ্ড বিজয়ী: আজ দর্শকসমাকীর্ণ কর্পোরেশন স্টেডিয়ামে ডুরাণ্ড কাপের পুনরনুষ্ঠিত ফাইন্যাল খেলায় মোহনবাগান ক্লাব ২-০ গোলে অন্ধ্র পুলিশ দলকে পরাজিত করিয়া কেবল চতুর্থবার ডুরাণ্ড জয়ের কৃতিত্বই অর্জন করে নাই— পূর্ব দুইবারের পরাজয়ের যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়া প্রতিযোগিতার ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ বর্ষে কাপ লাভ করিয়াছে। জলসিক্ত মাঠে অনমনীয় দৃঢ়তা, তীব্র গতিবেগ এবং উন্নত-ক্রীড়াদক্ষতার পরিচয় দিয়া মোহনবাগান বিজয়ীর সম্মান অর্জন করে। মোহনবাগানের অধিনায়ক অলিম্পিকখ্যাত চূণী গোস্বামী দর্শনীয়ভাবে প্রতি অর্ধে একটি করিয়া গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ মিনিটের সময় মোহনবাগান দ্বিতীয় গোলটি করিবার পর রাষ্ট্রপতি ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত হন। খেলার শেষে তিনিই পুরস্কার বিতরণ করেন।

রবিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০(২৪ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫), Sunday, December 15, 1963
• ভারতীয় অলিম্পিক দল গঠিত, চুণী গোস্বামী অধিনায়ক: মোহনবাগান ক্লাবের খ্যাতনামা লেফট ইন চুণী গোস্বামী সিংহলের বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষে প্রাক অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অধিনায়ক নির্বাচিত হইয়াছেন। এই নির্বাচন সর্বসন্মতিক্রমে হইয়াছে এবং ১৯৬৪ সালে অলিম্পিক গেমসের সকল খেলায় তিনি অধিনায়ক হইবেন বলিয়া জানা গিয়াছে।

রবিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৩৭০(২৪ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫), Sunday, December 15, 1963
• কর্পোরেশনের বাজেট, ছয় কোটি টাকা ঘাটতি: শনিবার কলিকাতা কর্পোরেশনের কমিশনার শ্রী এসবি রায় স্ট্যান্ডিং ফিনান্স কমিটির নিকট ১৯৬৪-৬৫ সালের যে খসড়া বাজেট পেশ করেন উহাতে কর্পোরেশনের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে এক শোচনীয় চিত্র উদ্ঘাটিত হয়। কমিশনার বাজেট সম্পর্কে তাঁহার বিবৃতিতে বলেন, অবস্থা এত খারাপ যে, আলোচ্য বত্সরে “কোন ঋণ সংগ্রহের ক্ষমতা কর্পোরেশনের থাকিবে না।” কর্পোরেশনের প্রয়োজন এবং আয়ের মধ্যেকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছে এবং ইহা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন। দেখা যায় যে, প্রস্তাবিত বাজেটে ৬ কোটি ৩১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার ঘাটতি পড়িবে। আলোচ্য বত্সরে আয়ের পরিমাণ ১৩ কোটি ৬১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ ১৯ কোটি ৯২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ধরা হইয়াছে। বত্সরান্তের তহবিল ৬ কোটি ৬৮ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ধরিলে ঐ ঘাটতি মিটিয়া বত্সর শেষে ৩৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত থাকিবে।

মঙ্গলবার, ১ পৌষ, ১৩৭০ (২৬ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) Monday, December 16, 1963
• বৃহত্তর কলিকাতার সর্বাত্মক উন্নয়ন: কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রতিনিধিগণ বৃহত্তর কলিকাতার সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য উপযোগী একটি সংস্থা গঠন করা একান্ত প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিতেছেন। প্রকাশ, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে অর্থ দপ্তর এবং বিশ্ব ব্যঙ্ক প্রতিনিধিগণের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকে এই ধরমের মতই ব্যক্ত হইয়াছে। কলিকাতা মেট্রোপলিটন জেলার উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করিতে প্রায় দুই শত কোটি টাকা দরকার হইবে বলিয়া বিশেষজ্ঞরা অনুমান করিতেছেন। তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করেন, বিশ্বব্যাঙ্কের পরামর্শ মত প্রকল্প রূপায়ণের উপযোগী সংস্থা গঠিত হইলে তাঁহাদের নিকট হইতে ঐ টাকা পাইতে অসুবিধা হইবে না। তাহা না হইলে ঐ টাকা কাহার হাতে দেওয়া হইবে উহা সুষ্ঠুভাবে খরচের দায়িত্বই বা কাহার থাকিবে এবং কিরূপ ঐ টাকা ফেরত্ পাওয়া যাইবে এই সব প্রশ্ন দেখা দিয়াছে।

বুধবার, ২ পৌষ, ১৩৭০ (২৭ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) Wednesday, December 18, 1963
• কলিকাতায় শীত আসিল: মঙ্গলবার পয়লা পৌষ। প্রথম শীত। সকালের দিকে আবছা কুয়াশায় ঢাকা কলিকাতায় ট্রামগুলি আলো জ্বালাইয়া পথে বাহির হয়। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে কিছুসংখ্যক লোককে আগুনের কুণ্ডলীর সামনে বসিয়া থাকিতে দেখা যায়। অপ্রস্তুত পথচারীকে শীতের ধাক্কা সামলাইতে হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হইয়াছে যে, বুধবার কলিকাতা ও উহার আশপাশে আকাশ পরিষ্কার থাকিবে। রাত্রিকালীন তাপমাত্রা হ্রাস পাইবে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২৫ ডিগ্রী সেঃ(স্বাভাবিক অপেক্ষা ১ সেঃ কম) এবং ১৫-৬ সেঃ(স্বাভাবিক অপেক্ষা ৪ সেঃ বেশী) আদ্রতার সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল শতকরা ৮৫ ও ৪০ ভাগ।

বুধবার, ২ পৌষ, ১৩৭০ (২৭ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) Wednesday, December 18, 1963
• মহানগরীতে বসন্ত নিরোধ অভিযান: মঙ্গলবার রাইটার্স বিল্ডিংএ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কক্ষে কলিকাতা কর্পোরেশনের কমিশনার, হেলথ অফিসার এবং রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসারদের এক যুক্ত বৈঠকে কলিকাতা সহরের বসন্ত নিরোধ অভিযান সম্পর্কে কার্যসূচী নির্ধারিত হয়। উক্ত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রীমতী পূরবী মুখার্জি সাংবাদিকদের নিকট বলেন যে, কলিকাতা কর্পোরেশন এলাকায় বসন্তের টিকা দিবার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কর্পোরেশনের কর্মীদের উপর ন্যস্ত হইয়াছে। প্রাইমারী ও রিভ্যাক্সিনেশনের দায়িত্ব ছাড়াও কলিকাতা ও হাওড়া স্টেশনে বাহির হইতে আগত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার কাজের ভারও তাঁহাদের উপর অর্পিত হইয়াছে।

বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ, ১৩৭০ (২৮ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) Thursday, December 19, 1963
• রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিজড়িত নিমতলা শ্মশানঘাট সরকার কর্তৃক রক্ষার উদ্যোগ: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের শেষ স্মৃতিজড়িত নিমতলা শ্মশানঘাটকে ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগী হইয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের দাহস্থান সহ সমগ্র শ্মশানটিকে গঙ্গার ভাঙ্গন হইতে রক্ষার জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর এক ব্যাপক পরিকল্পনা রচনা করিয়াছেন। প্রকাশ, ইস্পাতের ‘শীট পাইলের’ সাহায্যে নিমতলা শ্মশানঘাট রক্ষায় আনুমানিক ব্যয় হইবে পাঁচ লক্ষ একাশী হাজার টাকা। বন্যা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটি পরিকল্পনা বিবেচনা করিতেছেন। গত কয়েক বছর ধরিয়া ভাঙ্গনের ফলে ঐ শ্মশানঘাটের অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত হইবার আশঙ্কা দেখা দিয়াছিল এবং কবিগুরুর স্মৃতিতে ঐখানে কোন স্থায়ী সৌধ নির্মাণ করা এযাবত্ সম্ভব হয় নাই। এই শীতকালেই ঐ বন্ধ করার ব্যবস্থা অবলম্বনে সরকার উদ্যোগী হইতেছেন বলিয়া জানা যায়।

শুক্রবার, ৪ পৌষ, ১৩৭০ (২৯ অগ্রহায়ণ, ১৮৮৫ শক) Friday, December 20, 1963
• দক্ষিণাবিমূখে কলিকাতার সম্প্রসারণ: কলিকাতা মহানগরীকে দক্ষিণে আরও সম্প্রসারণ ও ঐ এলাকার উন্নয়ণের জন্য কলিকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট এক ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করিয়াছেন। পরিকল্পনামত ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট কলিকাতা কর্পোরেশন সংলগ্ন বেহালা পৌরসভার ৮ হইতে ১৬ নং—এই নয়টি ওয়ার্ড অর্থাত্ পূর্বে টালির নালা, পশ্চিমে ডায়মন্ডহারবার রোড, দক্ষিণে পুটিয়ারী ও উত্তরে নিউ আলিপুর ঐ সম্প্রসারিত উন্নয়ণমূলক এলাকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত লইয়াছেন। গত ৫ই ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কলিকাতা গেজেটে এই পরিকল্পনার খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয।

শিয়ালদহ শাখায় বৈদ্যুতিক ট্রেণের সূচনা।— আনন্দ চিত্র।

আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এই সকল সংবাদের বানান ও ভাষা অপরিবর্তিত।
 
 


 

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

 
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.