ঢুকতে বা বেরোতে গেলেই বাধা দেবে বিশেষ ব্যারিকেড বা বেষ্টনী। নাম তার ‘সিজার ব্যারিকেড’ বা কাঁচি-বেষ্টনী। কাল, বুধবার ব্রিগেডে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় এই ধরনের দু’-দু’টি বিশেষ ব্যারিকেড তৈরি করার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি)।
সোমবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে ব্রিগেড পরিদর্শন করেন এনএসজি এবং গুজরাত পুলিশের কর্তারা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, এই পরিদর্শনের পরে গুজরাত পুলিশ ও এনএসজি-র কর্তারা জানান, নিরাপত্তার খাতিরেই মোদীর সভায় ‘ডি জোন’-এর পরে দু’টি ‘সিজার ব্যারিকেড’ তৈরি করতে হবে। এই ব্যারিকেড তৈরি করা হয় বাঁশগুলিকে কাঁচির মতো লাগিয়ে, যাতে কেউ সেখান দিয়ে গলে অন্যত্র যেতে না-পারেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এই ধরনের ব্যারিকেড করা হয়ে থাকে বলে পুলিশকর্তারা জানান।
সরকারি সূত্রের খবর, বুধবার মোদীর জনসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এসেছিলেন গুজরাতের আইজি রামশঙ্কর ত্রিবেদী, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার। ওই দিনই তাঁরা বেহালায় আরসিটিসি-র হেলিপ্যাডে গিয়ে সেখানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন।
সোমবার সকালে গুজরাত থেকে ফের কলকাতায় আসেন এনএসজি-র লিয়াজঁ অফিসার পি শেখর-সহ ‘অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড’ বা জঙ্গি দমন শাখার অফিসার, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও ফুড ইনস্পেক্টর। বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, সিআইএসএফ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে বিমানবন্দরে বৈঠক হয় গুজরাতের পুলিশকর্তাদের। পরে তাঁরা ব্রিগেড পরিদর্শনে যান। সেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের কর্তাদের আলোচনা হয়।
লালবাজারের পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন গুজরাতের পুলিশ অফিসারেরা। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র বলেন, “সোমবার রাত থেকেই ব্রিগেডে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। জনসভার দিন গুজরাত পুলিশ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের পাঁচশোর বেশি পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে।” রাজীববাবু জানান, ব্রিগেডের বিভিন্ন জায়গায় ২৫ থেকে ৩০টি সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। এই ধরনের সিসিটিভি কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও ছিল না। ব্রিগেডে মমতার সভায় দু’টি ওয়াচ-টাওয়ার বা নজরমিনার ছিল। মোদীর জনসভায় থাকছে ১০টি। মোদীর মঞ্চ থেকে ৬০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত বিশেষ ব্যারিকেড করা থাকবে বলে কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানান। সেখানে কেউ ঢুকতে পারবেন না। দর্শকদের প্রবেশপথে থাকবে ‘ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর’। মোদীর জনসভায় কলকাতা পুলিশ ও গুজরাত পুলিশ ছাড়াও ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড থাকবে বলে পুলিশি সূত্রের খবর। কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানান, মোদীর বুধবারের সভায় দেড় থেকে দু’লক্ষ মানুষ আসবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। |