নিরাপত্তা আয়োজনে তিনি প্রায় প্রধানমন্ত্রী
প্রায় প্রধানমন্ত্রীর মতো নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতায় দলীয় সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদী।
আগামী ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা করবেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। কিন্তু তার তিন দিন আগে থেকেই মোদীর নিরাপত্তার ভার নিয়ে কলকাতায় চলে আসছেন গুজরাত পুলিশের অফিসারেরা। এমনকী ঝুঁকির দিকগুলি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই গুজরাত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসারেরা শহরের নানা প্রান্তে খবরাখবর নিচ্ছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, জনসভার দিনে বেলা ১টা নাগাদ মোদীর বিশেষ বিমান দমদম বিমানবন্দরে নামবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে ২টোর মধ্যেই রেসকোর্সের হেলিপ্যাডে পৌঁছে যাবেন মোদী। রেসকোর্স থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসে পৌঁছবেন সভাস্থলে। তাঁর সঙ্গে আসবেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। মোদী ব্রিগেডে পৌঁছনোর পরেই সভার কাজ শুরু হবে। চলবে পৌনে ৪টে পর্যন্ত। তার পর একই ভাবে রেসকোর্স থেকে হেলিকপ্টারে বিমানবন্দরে ফিরে যাবেন মোদী। এখনও পর্যন্ত নবান্নের কাছে তেমনই খবর রয়েছে।
কেন বিমানবন্দর থেকে পুরোটা সড়কপথে আসবেন না মোদী?
কারণ, বিমানবন্দর থেকে ব্রিগেডের সভাস্থলে সড়কপথে যাতায়াত মোদীর পক্ষে নিরাপদ নয় বলেই মনে করছে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং গুজরাত পুলিশ। এমনকী কলকাতা পুলিশও মোদীকে বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে ব্রিগেডে আনার পক্ষপাতী নয়।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক সূত্র জানান, সম্প্রতি মোদীর সভা ঘিরে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বসে মোদীকে হত্যার ছক কষেছে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সঈদ। তারা এই কাজে বাংলাদেশের কিছু জঙ্গি গোষ্ঠীকেও ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক। কলকাতায় মোদীর সভাস্থল থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে এই সভার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে এনএসজি। উপরন্তু পটনায় মোদীর জনসভা ঘিরে বিস্ফোরণের স্মৃতি এখনও টাটকা।
ওই সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও এখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ঝুঁকি বেশি। এক কর্তা তো বললেন, “স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) নিরাপত্তাটুকু ছাড়া মোদীর ক্ষেত্রে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় যা যা করা হয়ে থাকে, তা-ই করা হবে।” শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ বিমানে দমদমে নেমে সড়কপথেই রাজভবনে পৌঁছন তিনি। আজ, রবিবার ভারতীয় জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সড়কপথে ফিরবেন বিমানবন্দরে। এসপিজি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নিলেও এনএসজি মোদীকে রাস্তায় নামানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ।
বস্তুত, মোদীর সফরে গুজরাত পুলিশই তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। আজ এক ডিআইজির নেতৃত্বে গুজরাত পুলিশের একটি বিশেষ দলের কলকাতায় আসার কথা। তারাই কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে সমন্বয় করবে। ৪ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে চলে আসবেন এনএসজি, গুজরাত পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনী এবং অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) ৪০ জন সদস্য। এঁরাই মূলত সভার দিনে তিনটি সুরক্ষা বলয় তৈরি করে মোদীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন। মোদীকে ঘিরে প্রথমে এনএসজি কম্যান্ডোরা, দ্বিতীয় বলয়ে গুজরাত পুলিশের কম্যান্ডোরা এবং সর্বশেষ বলয়ে এটিএসের জওয়ানরা থাকবেন। তার বাইরে অবশ্য কলকাতা পুলিশ থাকবে। তবে স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা পুলিশের মূলত কাজ হবে ব্রিগেডে নাশকতা প্রতিরোধের বন্দোবস্ত করা এবং ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলানো। সেই জন্য আজ, রবিবার থেকেই মোদীর সভাস্থলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তল্লাশি শুরু করবে কলকাতা পুলিশ।
বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহের কথায়, “সভার আয়োজন নিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতা মিলছে। মোদীজির নিরাপত্তার জন্য সমস্ত খরচ দলই বহন করবে।” তিনি জানান, অনলাইনে আসন বিক্রির ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। তাঁর দাবি, মোদীর ব্রিগেড সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.