|
|
|
|
মুখ বদলে সাগরেই শক্তি খোয়াবে মাদি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঠাঁই হল না কোনও উপকূলে-ই। এ দিক-ও দিক ঘোরাঘুরি করে শেষে সাগরের উপরেই শক্তি হারাতে চলেছে অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মাদি’। সোমবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আপাতত তার অভিমুখ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে থাকলেও রাতেই মুখ ঘুরিয়ে দক্ষিণ দিকে রওনা দেবে সে।
শনিবার জন্ম নেওয়ার পরেই মাদি রওনা দিয়েছিল উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে। চলার পথে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল থেকে অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সে। তবে এই শক্তি মাদি ধরে রাখতে পারবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলছেন, “দক্ষিণ দিকে বাঁক নেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত শক্তিক্ষয় শুরু হবে মাদি-র। শুক্রবার নাগাদ দুর্বল নিম্নচাপে পরিণত হবে সে।”
সাধারণত, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর থেকেই তার একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য চিহ্নিত করেন আবহবিজ্ঞানীরা। কোন উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা দেখে জারি করা হয় সতর্কতাও। কিন্তু খামখেয়ালি মাদি-র ক্ষেত্রে তা করা যায়নি। কেন এমন আচরণ করছে সে? |
|
মৌসম ভবনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিমণ্ডলের উপরিস্তরে বায়ুপ্রবাহের সাহায্য নিয়েই ঘূর্ণিঝড় একটি নির্দিষ্ট অভিমুখে এগিয়ে যায়। কিন্তু মাদি-র চলার পথের দু’দিকে দু’রকমের বায়ুপ্রবাহ ছিল। এর ফলেই উত্তর বঙ্গোপসাগরের পথে এগোতে ক্রমাগত বাধার মুখে পড়েছে সে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই শেষ ধাক্কা দিয়েছে মধ্য ভারতের বায়ুপ্রবাহ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, মধ্য ভারতে ঠান্ডা হাওয়া এসে উচ্চচাপ বলয় তৈরি করেছে। এর ধাক্কাতেই উল্টো দিকে রওনা দিচ্ছে মাদি।
মাদির প্রভাব ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের শীতেও। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। তবে এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডা বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন আবহবিদেরা। তবে তেমনটা হতে এখনও দিন কয়েক সময় লাগবে বলেই হাওয়া অফিসের খবর। কেন?
গোকুলবাবু বলছেন, “এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি খুবই কম। পুরোপুরি দুর্বল হতে এখনও দিন তিনেক লাগবে।” আবহবিদেরা জানান, শুক্রবারের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে দাপট বাড়াতে পারে শীত।
|
পুরনো খবর: কোথায় হানবে আঘাত, দিশা ঠিক নেই মাদি-র |
|
|
|
|
|