|
|
|
|
আঞ্চলিক সমন্বয়ই কি লক্ষ্য, দিল্লিতে মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৯ ডিসেম্বর |
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে পা দেওয়ার ঠিক আগে, আজ সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে ৭টি আঞ্চলিক দল নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসল। উপলক্ষ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলির ঐক্যমঞ্চ গঠন। তেলঙ্গানা বিরোধী আন্দোলনে সূত্রধরের কাজটি করেছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি। আলোচনার অন্যতম শরিক হিসেবে উপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসও।
তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে বলছেন, তেলঙ্গানার বিষয়টিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করাই তাঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য। কেননা, দল নীতিগত ভাবে তেলঙ্গানা ভাগের বিরোধী। যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দার্জিলিং ভাগের প্রশ্নেও চাপের মুখে মাথা নোয়াতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তেলঙ্গানা বিরোধী মঞ্চে তৃণমূল থাকছে।
সরকারি ভাবে তৃণমূল এই দাবি করলেও রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, আজকের বৈঠকটি আসলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সমন্বয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুতি। যাতে কংগ্রেস এবং বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। এই সময়টাকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তৃণমূল। গতকালই চার বিধানসভা ভোটের ফলাফলে বিধ্বস্ত কংগ্রেস। যতটা মোদী-ঝড় উঠবে বলে মনে করা গিয়েছিল, বিজেপি নেতাদেরই একাংশ মনে করছেন বাস্তবে তা-ও হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীতে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। আগামিকাল দুপুরে তাঁর সেন্ট্রাল হলে যাওয়ার কথা। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। আজ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন বিজেডি-র শশী ভূষণ বেরা, জেডিইউ-এর শরদ যাদব, সপা-র রাম গোপাল যাদব, এআইডিএমকে-র মৈত্রেয়ন, ওয়াইএসআর কংগ্রেস-এ জগন্মোহন রেড্ডি ও অগপ, শিবসেনা, ডিএমকে, তৃণমূল নেতারা। কালই দিল্লি এসেছেন জগন্মোহন রেড্ডি। আজ তিনি বলেন, “তিন দিন দিল্লিতে থাকব। আগামিকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা রয়েছে।” জগন্মোহন গত ২০ নভেম্বরই কলকাতা গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। অন্ধ্র ভাগের কট্টর বিরোধী নেতার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মমতা। জগন্মোহনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে সাবধানী থাকতে চাইছে তৃণমূল। সংসদীয় দলের এক নেতার বক্তব্য, “আমরা জানি যে আঞ্চলিক বাধ্যবাধকতার জন্য জগন্মোহনকে একটি আসন সিপিআই-কে দিতে হবে। সেই বিষয়টিকে বিবেচনার মধ্যে রাখা হচ্ছে।”
|
পুরনো খবর: বিকল্প জোটের লক্ষ্যে সম্পর্ক ঝালাইয়ের পর্ব |
|
|
|
|
|