চার রাজ্যে ভরাডুবির ক্ষতে প্রলেপ উত্তর-পূর্বের
হিন্দি বলয়ের চার রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর কংগ্রেস হাইকমান্ডের হাতে আজ সান্ত্বনা-উপহার তুলে দিলেন লাল থানহাওলা। মূল ভূখণ্ডের সব হাওয়া, ঝড় সামলে প্রত্যন্ত উত্তর-পূর্বের মিজোরামে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন দখল করে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। ৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ৩৯টি আসনের ফলাফল এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৩৩টি আসন। বিরোধী এমএনএফ ৫ ও এমপিসি ১টি আসন পেয়েছে।
আজ দলনেত্রী সনিয়া গাঁধীর জন্মদিন। চার রাজ্যে দলের ভরাডুবির পর মিজোরামে ফলাফল সেই ক্ষতকে নির্মূল করতে না পারলেও, সামান্য প্রলেপ অন্তত দেবে বলে মনে করছেন মিজোরামের কংগ্রেস নেতৃত্ব। টানা না হলেও, এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন লাল থানহাওলা। গত বারের নির্বাচনে ‘ধর্ম বনাম রাষ্ট্র’-এর লড়াইয়ে পরাভূত হয়েছিল রাষ্ট্রযন্ত্র। গির্জার খবরদারির সামনে, কার্যত ভোট আদায়ের কোনও চেনা হাতিয়ার ব্যবহার করতে না পেরে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। এ বারও বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা ‘খ্রিস্টবিরোধী’ কার্যকলাপ করছেন বলে অভিযোগ তুলে ভোটের আগে বাজার গরম করার বিস্তর চেষ্টা চালায়। কিন্তু নিজেই গির্জার ধর্ম-শিক্ষক হওয়ার সুবাদে দুঁদে প্রশাসক লাল থানহাওলা লড়াইয়ের ময়দানে বিরোধীদের কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন শাসকদল, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টকে ধরাশায়ী করে ৪০টির মধ্যে ৩২টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এমএনএফ ৩টি, এমপিসি ২টি ও অন্যান্যরা তিনটি আসন পেয়েছিল। এ বারও তেমন লড়াই হল না। বেলা দু’টোর মধ্যেই কংগ্রেস বুঝিয়ে দেয়, তারাই ক্ষমতা দখলে রাখছে। বিকেল চারটের মধ্যেই চলে আসে ২১ আসনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। লাল থানহাওলা সেরচিপ ও রাংতুরজো কেন্দ্রে দাঁড়া ন। দু’টিতেই সহজে জিতলেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রধান বিরোধী নেতা জোরামথাঙ্গা গত বার চাম্পাই থেকে হারার পর, এ বার পূর্ব তুইপুই কেন্দ্রেও কংগ্রেসের সাংকুংগার কাছে ২৪৯ ভোটে হেরে গিয়েছেন।
এদিন জিতলেও সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে মিজোরামকে যে অবহেলার চোখে দেখা হয় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লাল থানহাওলা বলেন, “আমাদের জয়-পরাজয় নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল বলে মনে হয় না। আমরা নিজেদের জগতে থাকি। তবে এই জয় দলের উন্নতিতে সাহায্য করলে গর্বিত হব।” তাঁর মতে, “৫ বছরে মিজোরামে অবৈজ্ঞানিক ঝুম চাষের বিকল্প হিসেবে ২৮০০ কোটি টাকার যে ‘ভূমি ব্যবহার প্রকল্প’ চালু করেছে কংগ্রেস, তারই সুফল মিলল এই নির্বাচনে।”
এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর বর্তমান মন্ত্রীসভার ১১ সদস্য-সহ মোট প্রার্থী ছিলেন ১৪২ জন। কংগ্রেস ৪০টি আসনে, এমএনএফ ৩১টি, এমপিসি ৮টি, এমডিএফ ১টি, জেডএনপি ৩৮টি, বিজেপি ১৭টি আসনে প্রার্থী দেয়।
এ বার ছয় মহিলা লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কেউই জিতলেন না। আজকের জয়ের পরে, উত্তর-পূর্বে মিজোরাম, অসম, মণিপুর, মেঘালয় ও অরুণাচলে কংগ্রেসের শাসনই বহাল রইল। নাগাল্যান্ডে এনপিএফ শাসন চলছে। কেন্দ্রে অবশ্য তারা ইউপিএ-রই শরিক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.