বিমানবন্দরের কর্মী বাপি ওরাওঁয়ের মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা শুরু করল পুলিশ। সোমবার পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বিমানবন্দরের ভিতরে রানওয়ের পাশে গিয়ে দেখে এসেছেন ঘটনাস্থল। সেখানকার ছবিও তোলানো হয়েছে।
গত বছর নতুন টার্মিনাল তৈরির সময়ে নির্মীয়মাণ টার্মিনালের মেঝের খোলা জায়গা দিয়ে পড়ে মারা যান বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ার আর খান্ডেলওয়াল। সেই সময়েও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনে পুলিশ। সেই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। পুলিশের এডিসিপি (বিমানবন্দর) সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “এ বছর জুলাইয়ে ইন্ডিগোর এক কর্মী বিমান থেকে পড়ে মারা গেলে গাফিলতির মামলা করা হয়েছে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে। আর গত শুক্রবারের ঘটনায় তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, রানওয়ের পাশে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। তাই গাফিলতির মামলা করা হয়েছে।” প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, গর্তে চাকা পড়েই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে
গিয়ে ট্র্যাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান বাপি।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এক বছর আগে ঠিক হয়েছিল, যে রানওয়ে বন্ধ থাকবে তার পাশে ঘাস কাটতে হবে। কারণ, এর আগে চালু রানওয়ের পাশে ঘাস কাটার সময়ে বড় ট্র্যাক্টর পাইলটের দৃষ্টির মধ্যে চলে এসেছিল। বিমানযাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থেই ওই নিয়ম তৈরি হয়। গত শুক্রবার যে রানওয়ে থেকে বিমান ওঠানামা করছিল তার পাশেই ঘাস কাটা হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে নিয়ম কেন মানা হল না কেন? বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেন, “যেখানে ঘাস কাটা হচ্ছিল, তা রানওয়ের এক প্রান্তে। ফলে সেখান থেকে বিমান ওঠানামার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, সে দিন বাপি পড়ে গেলে খালি ট্র্যাক্টরটি রানওয়ে পেরিয়ে চলে যায়। নেহাৎ কোনও বিমান সেই সময়ে নেমে আসেনি। এলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকত। নিয়ম মানা হলে দুর্ঘটনার পরে ট্র্যাক্টর উঠে আসত বন্ধ রানওয়ের উপরে। কোনও বিপদের সম্ভাবনাই তৈরি হত না।
|