হাতে-কলমে পুলিশকে সহযোগিতা করতে এ বার এগিয়ে এলেন সল্টলেকের বাসিন্দারা। সল্টলেকের ৯ নম্বর ওয়ার্ডটি পুরোপুরি সিসিটিভির নজরদারির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়ার্ড কমিটি। রাজ্যের ১২৭টি পুরসভার মধ্যে প্রথম এমন ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে বলে দাবি কাউন্সিলরের। আলিপুরের একটি রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বছর খানেক আগেই এমন ব্যবস্থা নিয়েছিল। এ বার সে পথে হেঁটে এমন ব্যবস্থা হতে চলেছে সল্টলেকেও।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ বি-এ সি এবং এ ডি ব্লক রয়েছে। ২০১২-র এপ্রিলে ওই ওয়ার্ডে একটি বাড়ির দরজা ভেঙে, বাসিন্দাদের মারধর করে টাকা ও দামি জিনিস লুঠ করে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। আজও তার কিনারা হয়নি। এর পরেও একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। সেই কারণেই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পুরো এলাকায় সিসিটিভির দাবি জানান ওয়ার্ড কমিটির কাছে।ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ৮টি প্রবেশপথে বসতে চলেছে সিসিটিভি। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের মধ্যে প্রথম একটি গোটা ওয়ার্ড এ ভাবে নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। শুধু সিসিটিভি বসানোই নয়, ৪৫ দিনের ছবি সংরক্ষণ করে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দেব। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে বাসিন্দা ও প্রশাসনিক ভাবে ওয়ার্ড কমিটির দায়বদ্ধতা আছে। তাই এমন পরিকল্পনা।”
বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারেও এই সিসিটিভি সক্রিয় থাকবে। যে সংস্থা এই সিসিটিভি বসানোর কাজ করছে, তাঁদের অন্যতম কর্ণধার অনির্বাণ মিশ্র বলেন, “সিসিটিভি বসিয়ে তার ছবি সংগ্রহ করে পর্যাপ্ত ব্যাখ্যার ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি, পুলিশের খাতায় দাগী অপরাধীরা এলাকায় ঢুকলে সতর্ক করার মতো ব্যবস্থাও রাখা হবে।”
বাসিন্দাদের একটি সংগঠন বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “গোটা সল্টলেকে এমন হলে আরও ভাল হয়। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে শুধু দোষারোপ করলেই চলবে না, সাধ্য মতো পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বাসিন্দাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” বিধাননগর পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তারা মন্তব্য করবে।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “ওয়ার্ড কমিটি সিদ্ধান্ত নিলে পুর প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সম্মতির প্রয়োজন। তবে তেমন পরিকল্পনা এলে নিশ্চিত ভাবেই বিবেচনা করব।” স্থানীয় কাউন্সিলরের অবশ্য দাবি, “আমাদের দল রাজ্যের ক্ষমতায়। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। বাসিন্দাদের দাবি মেনেই এই পরিকল্পনা। সমস্ত প্রক্রিয়া মেনেই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।” |