আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা তুললেন বৈশ্বানর
নিজস্ব সংবাদদাতা |
আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেও তা প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানান তিনি। সংবাদমাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষকে আক্রমণ করার অভিযোগে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেছিলেন বৈশ্বানরবাবু। কিন্তু আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য বিচারককে চিঠি দিয়ে জানান, অরুণাভবাবুর বিরুদ্ধে সমন জারি করার উপযুক্ত কিছু পাওয়া যায়নি। এর পরে বৈশ্বানরবাবুর নেতৃত্বে কয়েক জন আইনজীবী সিজেএম-এর এজলাস ও চেম্বারে ঘেরাও করলে তিনি রায় বদল করে সমন জারি করতে বাধ্য হন। একই সঙ্গে জেলার মুখ্য বিচারককেও বিষয়টি জানান। মুখ্য বিচারক হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়টি জানান। অরুণাভবাবু এ বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশ্বানরবাবুকে হলফনামা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলেন। এ দিন হলফনামা দিয়ে বৈশ্বানরবাবু জানান, তিনি মামলা প্রত্যাহার করতে চাইলেও হাইকোর্টে মামলা চলার জন্য আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মামলা প্রত্যাহার করছেন না। বিচারপতি জানান, হাইকোর্টের মামলাটি কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। ম্যাজিস্ট্রেট যা মনে করবেন, তাই করবেন। ১৫ দিন পরে হাইর্কোটের মামলাটির ফের শুনানি হবে।
|
উদ্ধার হয়নি রিভলভার, পরাগ জেলে |
শর্ট স্ট্রিটের বিতর্কিত জমিতে একাধিক হামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত পরাগ মজমুদারকে অনেক আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু ৯এ শর্ট স্ট্রিটের অন্যতম বাসিন্দা রতনলাল নাহাটার লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার এখনও উদ্ধার করতে পারেনি তারা। ওই জমি ও বাড়িতে হামলার সময় নাহাটার রিভলভার লুঠ হয়। অভিযুক্ত পরাগকে সোমবার তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক অপর্ণা চৌধুরী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস বলেন, নাহাটার লুঠ হওয়া রিভলভার উদ্ধার হয়নি। পরাগকে জেল-হাজতে রেখে জেরা করা দরকার। লুঠ হওয়া জিনিসপত্র কোথায় রাখা হয়েছে, সেই জেরাতেও তা জানাতে পারেন পরাগ। পরাগের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে চান। সরকারি আইনজীবী বিরোধিতা করে বলেন, অভিযুক্তকে জবানবন্দি দিতে হলে পুলিশের মাধ্যমে তা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশ এখনও আদালতে তেমন কোনও আবেদন জানায়নি।
পুরনো খবর: রক্ষী সংস্থার কর্তা অধরাই, সমস্যা শর্ট স্ট্রিটের তদন্তে
|
পার্কিং সমস্যা মেটাতে শহরে আরও চারটি পার্কোম্যাট করতে চায় পুরসভা। পিপিপি মডেলে সেগুলি তৈরি হবে পুরসভারই কয়েকটি পার্কের নীচে। সোমবার পুরভবনে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর পুরসভা ও মেট্রো রেলের বিশেষজ্ঞ দল ওই জায়গাগুলি ঘুরে দেখবে। পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শহরের চারটি পার্ককে বাছা হয়েছে। সেগুলি হল দক্ষিণ কলকাতার গাঁজা পার্ক, হাজরা পার্ক, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক ও উত্তর কলকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্ক। এক অফিসারের কথায়, “গাঁজা পার্ক ও হাজরা পার্কের নীচ দিয়ে মেট্রো গিয়েছে। সেখানে পার্কোম্যাট করা সম্ভব কি না, খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দল।” মেয়র পারিষদ (ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “শহরের যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা হচ্ছে। তার স্থায়ী সমাধানে আরও পার্কোম্যাট জরুরি।” অতীনবাবু জানান, প্রতিটি পার্কোম্যাটে কমপক্ষে ১০০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
পুরনো খবর: মন্ত্রী-বিধায়কের দ্বন্দ্বে অথৈ জলে পার্কোম্যাট
|
বিধি মেনেই সমিতি বাদ সুরেন্দ্রনাথে, দাবি মন্ত্রীর |
তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক শিখা মিত্রকে সরানোর জন্যই সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পরিচালন সমিতি ভাঙা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট (বিধি) মেনেই ওই কলেজের পরিচালন সমিতি ভাঙা হয়েছে। সুরেন্দ্রনাথ দিবা, সান্ধ্য ও আইন এই তিন কলেজের তরফে গত সপ্তাহে চিঠি পাঠিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র-প্রতিনিধিরা পরিচালন সমিতি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে কোথাও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না, কোথাও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ইত্যাদি। এই অবস্থায় ওই তিন কলেজের পরিচালন সমিতি ভেঙে দেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। তিনটি কলেজেই সমিতির সভানেত্রী ছিলেন শিখাদেবী।
|
দু’বছর পরে ফের কলকাতায় দেখা যাবে সার্কাস। পার্ক সার্কাস ময়দানে এ মাসেই তা শুরু হচ্ছে। শেষ বার ওই পার্কে সার্কাস হয়েছিল ২০১০ সালে। সম্প্রতি সেখানে সার্কাস করার অনুমতি দেওয়ার জন্য দরপত্র ডাকে পুর প্রশাসন। তিনটি সংস্থা আবেদন জানায়। সবচেয়ে বেশি টাকা দেওয়ায় অজন্তা সার্কাস অনুমতি পেয়েছে। সোমবার মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, দু’মাসের জন্য ২৭ লক্ষ টাকা পুরসভাকে দেবে ওই সংস্থা। বড়দিনের আগেই সার্কাস চালু হয়ে যাবে।
|
বরো-প্রধান পদে ভোট পাঁচ বছরে |
কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয় পাঁচ বছর অন্তর। কিন্তু ফি-বছরই হয় বরো চেয়ারম্যানদের নির্বাচন। কাজের সুবিধার জন্য এ বার বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনও পাঁচ বছর ছাড়া করতে চেয়ে পুর আইন সংশোধনী বিল পাশ হল বিরোধী-শূন্য বিধানসভায়। অর্থাৎ ওই সংশোধনী কার্যকর হওয়ার পরে বরো-প্রধানদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
|
পরিবারের এক জনের অসতর্কতায় রাস্তায় পড়ে যায় আড়াই বছরের শিশু জোহেব আলম। পিছন থেকে একটি ট্যাক্সি ধাক্কা মারে তাকে। গুরুতর আহত জোহেবকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |