বাঁকের মুখে এসে ট্রেনটা একটু বেশিই বেঁকে যাচ্ছে বলে মনে হয়েছিল চালকের। তাই শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নিউ ইয়র্কের পোগিপসি থেকে গ্র্যান্ড সেন্ট্রালগামী ট্রেনটির চালক উইলিয়াম রকফেলার। ট্রেনের গতি কমেও ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তার পরেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় চারটি কামরা।
রবিবার সকালে ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চার জন। নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কিউমো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, কী ভাবে কামরা লাইনচ্যুত হল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর পর খবর ছড়ায়, স্পুটেন ডুভিল স্টেশনের কাছে মেট্রো নর্থের ট্রেনটির কোনও কামরা সংলগ্ন হাডসন এবং হার্লেম নদীতে পড়ে গিয়েছে। তবে পরে জানা যায় সে তথ্য ঠিক নয়। ওই ট্রেনের যাত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, ট্রেনের গতিবেগ যথেষ্ট বেশি ছিল। মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির (এমটিএ) মুখপাত্র মারজরি অ্যান্ডার্স জানিয়েছেন, “ওই বাঁকের কাছে গতি কমানোর কথা। ট্রেনের ব্ল্যাক বক্স থেকে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। ব্রেক ঠিক সময়ে কাজ করেছিল কিনা, জানা যাবে সেটাও।” ওই লাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন এক জন ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, “ওই বাঁকটি এমন কিছু ভয়ঙ্কর নয়। গাড়ি চালানোর সময়ে আমরা যা করে থাকি, এ ক্ষেত্রেও তাই হওয়ার কথা। গতি কমিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।” তবে বেশি গতির জন্যই যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনই জোর দিয়ে বলছেন না কেউই।
ট্রেনের কামরা বেলাইন হওয়ার সময়ে অনেক যাত্রীই ট্রেন থেকে পড়ে যান। মৃতদের শনাক্ত করা হয়েছে। আহত ৬৩ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রেনে ছিলেন মোট ১২০ জন যাত্রী। স্পুটেন ডুভিল স্টেশনে ট্রেনটির থামার কথা ছিল না। তবে অনেকেরই বক্তব্য, রবিবার হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা অনেক কম ছিল। সপ্তাহের কোনও কাজের দিন হলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। |