সামরিক অভ্যুত্থান নয়, মানুষের অভ্যুত্থান।
অন্তত তেমনই বলছেন তাইল্যান্ডের সরকার-বিরোধীরা। আর সেই তার জেরেই রবিবার দিনভর উত্তপ্ত রইল তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক। সরকারি সূত্রের মতে, এ দিন অন্তত আটটি জায়গায় চড়াও হন সরকার-বিরোধীরা। তার মধ্যে ছিল বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, টিভি স্টেশন। উদ্দেশ্য একটাই। যেন তেন প্রকারে সরকারের কাজকর্ম অচল করা। বিরোধীদের তরফ থেকে বেশ ক’দিন ধরেই বলা হচ্ছিল, রবিবারই সেই ‘ভি ডে’। অর্থাৎ জয়ের দিন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, জয়ের থেকে বহু দূরেই আটকে বিরোধীরা। সোমবার ২৪ ঘণ্টা সরকারি কাজকর্ম অচল রাখার কথা ঘোষণা করে থামলেন বিরোধী-নেতা সুতেপ তাউগসুবান।
তবে এতেই শেষ নয়। এ দিন একটি পুলিশ চত্বরে সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গলাক শিনাবাত্রা। কিন্তু সেখানেও হাজির হয় মারমুখী বিরোধীরা। সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। অসমর্থিত সূত্রের মতে, চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীকে সুরক্ষিত জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সরকার পক্ষ অবশ্য এমন কথা অস্বীকার করেছে। তবে, এ দিন যে রকম প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ-বিরোধী সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে শুরু হওয়া সরকার-বিরোধিতা আর শান্তিপূর্ণ নেই। কাল রাতেই সরকার বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলছেন, নিহতের সংখ্যা পাঁচ। আহত ৫৪। সেই সংঘর্ষ রাত গড়িয়ে চলেছে রবিবার সকাল পর্যন্ত।
আজ সকালে অন্তত তিনটি জায়গায় কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুড়েছে পুলিশ। প্রতিবাদে পুলিশের দিকে পাথর ও পেট্রোল বোমা ছোড়ে বিরোধীরা। সম্প্রতি সুতেপকে গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। তার পর থেকেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে ইঙ্গলাক-বিরোধীরা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীকেও নামাতে হয়েছে শহরে। তবে কোনও অস্ত্র ছাড়াই পথে নামে সেনা। জাতীয় পুলিশ মুখপাত্র পিয়া উতায়ো অবশ্য জানিয়েছেন, বিরোধীদের হাত থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের দখল ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। |