বিক্ষোভ সত্ত্বেও আস্থা ভোটে জিতল শিনাবাত্রা-সরকারই
ত পাঁচ দিনের চেনা বিক্ষোভ বদলাতে পারল না অনাস্থা ভোটের ফলাফলও। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ২৯৭-১৩৪-এ জিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গলাক শিনাবাত্রা। যদিও সে সংখ্যায় বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই আন্দোলনকারীদের। ব্যাঙ্ককের রাস্তায় আজও সেই ছবি। মুখে হুইসল, হাতে পোস্টার, সংক্ষিপ্ত দাবি “দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যাও।”
গত কয়েক দিন ধরে ইঙ্গলাক শিনাবাত্রাকে গদিচ্যুত করার দাবি আজ আরও জোরালো হয়ে উঠে। পার্লামেন্টে অনাস্থা-প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যায়নি ইঙ্গলাককে। হেলায় জিতে গিয়েছেন। জয়ের পরে টেলিভিশনে দেখাও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে বলেন, “আলোচনায় বসতে রাজি সরকার। বিক্ষুব্ধদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি প্রশাসন। এমনকী যাঁরা এখনও সরকারি ভবন দখল করে রেখেছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে তৈরি আমরা।”
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ইঙ্গলাক আরও বলেন, “আপনারা বিক্ষোভ দেখানো বন্ধ করুন। সরকারি দফতরগুলো খালি করে দিয়ে কর্মীদের ঠিক মতো কাজ করতে দিন। সরকার কোনও রকম সংঘাতে যেতে চায় না। সমাধানসূত্র খুঁজতে প্রত্যেকের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি আমরা।”
যদিও প্রধানমন্ত্রীর কোনও প্রস্তাবেই সন্তুষ্ট নন বিক্ষুব্ধরা। হাজার হাজার মানুষ ঢুকে পড়েছেন অর্থ দফতরে। মন্ত্রক চত্বরে তাঁরা সারা রাত ক্যাম্প খাটিয়ে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, বর্তমান সরকারকে সরিয়ে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হোক “পিপলস কাউন্সিল”-এর হাতে। শুধু রাজধানীই নয়, ব্যাঙ্ককের বাইরেও অন্তত ২৫টি সরকারি ভবন বিরোধীদের দখলে। এমনকী ফুকেতেও একই দৃশ্য। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক। তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষোভ দেখালেও, সশস্ত্র হয়ে পথে নেমেছেন। অস্ত্র বলতে অবশ্য, হুইসল, জাতীয় পতাকা আর পোস্টারের ছড়াছড়ি।
দুর্নীতি-সহ আরও নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাকসিন শিনাবাত্রা। এর পর দেশত্যাগ করেন তিনি। যদিও রাজনীতি থেকে তাঁর নাম মুছে যায়নি। গদিতে বসেন তাকসিনের বোন ইঙ্গলাক। সম্প্রতি এই ইঙ্গলাক এমন একটি সংশোধনী বিল পাশ করানো চেষ্টা করছিলেন, যাতে তাঁর দাদা ফিরে আসতে পারেন তাইল্যান্ডে। সরকার-বিরোধীরা দাবি তোলেন, ইঙ্গলাক আসলে তাকসিনের হাতের পুতুল। অতএব তাঁর কোনও আত্মীয়কেই আর গদিতে বসতে দেওয়া যাবে না।
কূটনীতিকদের মতে, তাইল্যান্ডে এ দৃশ্য নতুন নয়। রাজনীতির নাগরদোলায় তাইল্যান্ড ফেঁসে রয়েছে দীর্ঘদিন। ২০১০ সালে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৯০ জনের। ২০০৮ সালেও এক বার মাসের পর মাস প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এ বারেও সেই একই পরিস্থতি। এর জন্য দায়ী কে? বিক্ষুব্ধদের যে কাউকে এই প্রশ্ন করলেই জবাব, ‘তাকসিন শিনাবাত্রা’। বিরোধীদের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যতই স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকুন না কেন, লাগাম আসলে তাঁরই হাতে। বোনকে সামনে রেখে এখনও গদিতে রয়েছেন তিনিই।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.