মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য হওয়ায় ২১ জন মহিলাকে দীর্ঘ কারাদণ্ডের আদেশ দিল মিশরের এক আদালত। অক্টোবর মাসে আলেকজান্দ্রিয়ায় এক বিক্ষোভের সময়ে ওই মহিলারা গ্রেফতার হন। মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সংঘর্ষ ও বিক্ষোভ চলছে সে দেশে। এক দিকে রয়েছে সেনা সমর্থিত নয়া সরকার। অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড-সহ মুরসির সমর্থকরা। সম্প্রতি ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাতে অবশ্য বিক্ষোভ কমেনি।
গত মাসে আলেকজান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভের সময়ে বেশ কিছু মুরসি সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ তাঁদেরই মধ্যে ২৭ জনের সাজা ঘোষণা করেছে আলেকজান্দ্রিয়ার এক আদালত।
আজ কোর্টে বিশাল এক খাঁচার মধ্যে হাজির ছিলেন ২১ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে সাত জনের বয়স ১৮-এর কম। তাঁরা সাবালিকা হলেই জেল থেকে ছাড়া পাবেন। বাকি ১৪ জনকে অবশ্য ১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজা হয়েছে ৬ জন পুরুষেরও। সরকারপক্ষ আদালতে জানিয়েছে, ওই ৬ জন পুরুষ ব্রাদারহুড নেতা। ৩১ অক্টোবর আলেকজান্দ্রিয়ার বিক্ষোভে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন মহিলারা। ওই নেতাদের নির্দেশেই তা করা হয়েছিল। কিন্তু মহিলাদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা।
তবে মুরসি সমর্থক ও মানবাধিকার কর্মীদের মতে, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। এই সরকারের আমলে ফের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের জমানার ছায়া দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মী সাদ ইল-দিন-দিন বলেছেন, “মুবারকের তৈরি আইনের মতোই এই রায়ও আমরা মানব না।” ব্রাদারহুড নেতারা জানিয়েছেন, এই ভাবে তাঁদের আন্দোলন দমাতে পারবে না সরকার। এই আন্দোলন চলবে।
|