মিউজিক ভিডিওয়ে স্বয়ং প্রশাসক!
ইরানের মতো গোঁড়া, রক্ষণশীল দেশে এমনটাই ঘটিয়ে ফেললেন প্রেসিডেন্ট হাসান রউহানি। সাদা কালো এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে গত কালই। নাম, ‘নোসাফার।’ বাংলায় তর্জমা করলে যার মানে দাঁড়ায় নতুন যাত্রা। প্রেসিডেন্টের এই ভিডিও নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশে। ইরানের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ও ইউটিউব মারফত দ্রুত ছড়িয়েও পড়েছে সেটি। রেকর্ড বলছে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় চার লক্ষ বার দেখা হয়েছে এই ভিডিও।
কী আছে ভিডিওটিতে?
|
হাসান রউহানি |
ইউটিউবে ক্লিক করতেই ভেসে আসছে সাদাকালো ছবি। চারপাশে অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র। গান গাইছেন মহিলা ব্যান্ডের সদস্যরাও। পর্দায় উপস্থিত বেশ কিছু সাংবাদিক। এ ছাড়াও রয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তাঁদেরই মাঝে প্রেসিডেন্ট রউহানি, স্মরণ করছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে। চলতি বছর অগস্টে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ গ্রহণের সময় যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন রউহানি, ‘নোসাফার’-এর মূল বিষয়বস্তু আদতে সেটিই। ভিডিওটি শুরু হচ্ছে প্রখ্যাত পারসী কবি হাফিজের এক অনবদ্য কবিতার প্রথম পংক্তি দিয়ে, “সামনে দীর্ঘ রাস্তা, নতুন পথিক আমি।” ভিডিওটির মাধ্যমে মূলত ইরানের মাহাত্ম্যের কথাই বলেছেন রউহানি। বাদ পড়েনি ১৯৫৩ সালে সিআইএ মারফত প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ মোসাদেজ-এর গদিচ্যুত হওয়ার ঘটনাটিও। এ সবের পাশাপাশি পরিবর্তনের কথাও বলা আছে তাতে। প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গান গাইছেন সকলে।
হঠাৎ এমন পদক্ষেপ কেন?
তথ্য বলছে, ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট প্রগতিশীল ইরানের সপ্তম প্রেসিডেন্ট রউহানি। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই ইরানের সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদ লাভের পরই অঙ্গীকার করেন আমূল সংস্কারের।
ভিডিওটির নির্মাতা সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত দেশের টিভি চ্যানেলগুলিতে ভিডিওটি সম্প্রচারের অনুমতি মেলেনি। তবে তা ইতিমধ্যেই আপলোড করে দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট রউহানির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট-সহ বেশ কিছু বেসরকারি ওয়েবসাইটে। রউহানির এই ভিডিওর সঙ্গে ওবামার ‘ইয়েস উই ক্যান’ ভিডিওটির মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। নির্বাচনী প্রচারে ওবামার বক্তৃতার উপর ভিত্তি করেই ২০০৮ সালে তৈরি হয় সেটি। |