|
|
|
|
বাঁকুড়া মেডিক্যালে চার দিনে ১৭টি শিশুর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাঁকুড়ার সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে এখানে মোট ১৭টি শিশু মারা গিয়েছে। শুক্রবার বাসুদেববাবু শিশুমৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য জানতে হাসপাতাল সুপারকে ফোন করলে তাঁকে এই তথ্য দেওয়া হয়।
বাসুদেববাবু বলেন, “এই হাসপাতালে নবজাতকদের পরিচর্যা কেন্দ্র (এসএনসিইউ) রয়েছে। তার পরেও শিশু মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে এখানে। মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতগুলি শিশুর কী ভাবে মৃত্যু হল, তার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হোক।” যদিও হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডুর দাবি, “শিশু মৃত্যুর এই হার স্বাভাবিক। প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৭০টির বেশি প্রসব হয়, যা আমাদের পরিকাঠামোর তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ৪টি করে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সোম ও মঙ্গলবার ৪টি করে শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার ২টি এবং বৃহস্পতিবার এক দিনে ৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে। সুপারের দাবি, মৃত শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই কম ওজনের ছিল। কিছু শিশুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম হওয়ায় (প্রিম্যাচিওর বেবি) মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি শিশুর জন্ম হাসপাতালের বাইরে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ওই শিশুগুলিকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল সূত্রেই খবর, এখানে বর্তমানে এসএনসিইউ-এর শয্যা সংখ্যা ২০। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৬০টির বেশি শিশু ভর্তি থাকে। হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবের কথা মেনে নিয়ে সুপার বলেন, “চাহিদার তুলনায় আমাদের হাসপাতালের পরিকাঠামো অনেক কম। কিন্তু এসএনসিইউ-এর শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছি।” বাসুদেববাবু জানান, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রাজ্য তথা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এই হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়তে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে চিঠি লিখবেন। |
|
|
|
|
|