|
|
|
|
আগুনে জখম দুঃস্থ কিশোরীর চিকিৎসা হল
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
টাকার অভাবে আগুনে জখম মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না পেশায় দিনমজুর বাবা। সকলের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন।
পত্রিকায় তাঁর আর্তির কথা জেনে মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করল কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দিনদশেকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে করিমগঞ্জের মাছলি গ্রামের ১৬ বছরের কুলসুমা বেগম।
২০০৯ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে গলা, গালের মাংস পুড়ে যায় ওই কিশোরীর। ঘাড় নাড়াতে পারত না সে। খেতেও কষ্ট হতো। করিমগঞ্জের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, অস্ত্রোপচার করতেই হবে। অসহায় পরিস্থিতিতে পড়ে সহায়-সম্বলহীন ওই দিনমজুর পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার বছরে অনেকের কাছেই সাহায্যের আশায় গিয়েছেন তাঁরা। লাভ হয়নি। মেয়েটির যন্ত্রণা ক্রমেই বাড়ছিল। শেষে অস্ত্রোপচারের জন্য অর্থ সংগ্রহে এগিয়ে আসে স্থানীয় জনকল্যাণ ক্লাব ও সমাজকল্যাণ সংস্থা।
স্থানীয় পত্রিকায় ওই খবর দেখেন কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের প্রশাসনিক আধিকারিক কল্যাণ চক্রবর্তী। হাসপাতালের নির্দেশক চিকিৎসক রবি কন্নানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে আগুনে পুড়ে যাওয়া ওই কিশোরীর চিকিৎসার সম্পর্ক না-থাকলেও আগ্রহ দেখান কন্নান। সামাজিক সংস্থা দু’টির মাধ্যমে কুলসুমার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।
বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে কন্নান-কল্যাণবাবুদের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়েটির বাড়িতে যান কল্যাণবাবুও। শুক্রবার সকালে কুলসুমার অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসক কন্নান। সাহায্যের জন্য ছিলেন চিকিৎসক ঋতেশ তাপকিরে এবং অভিনয়া আরসি। অস্ত্রোপচার শেষ হয় রাত পৌনে ১১টায়।
আজ মাছলির পঞ্চায়েত সভাপতি আবদুল গফ্ফর হাসপাতালে গিয়ে কুলসুমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ভাগ্যিস ডাক্তার কন্নানের মতো মানুষ এখনও রয়েছেন। তা-ই প্রাণে বাঁচল মেয়েটা।” |
|
|
|
|
|