|
|
|
|
তমলুক হাসপাতালে আগুন, প্রশ্নের মুখে পরিকাঠামো
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডেও টনক নড়েনি। তমলুক জেলা হাসপাতালে আগুন লাগায় ফের বেআব্রু হয়ে গেল সরকারি হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার বেহাল দশা। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তমলুক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে কম্পিউটার বিভাগের সার্ভার রুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে আগুন লাগে। গোটা চত্বর ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের ওই অংশে অগ্নি নির্বাপনের ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথমে দিশেহারা হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরা। পরে দমকলের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আগনে দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। |
|
জেলা হাসপাতালে আগুন নেভাতে তৎপর দমকল বাহিনী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
তবে জেলা হাসপাতালের মধ্যে অগ্নি নির্বাপণের প্রাথমিক ব্যবস্থাটুকু না থাকায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা হাসপাতালে আগুন নেভাতে আসা দমকল বাহিনীর আধিকারিক পিনাকী দাস বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে আগুন লেগেছে। তবে এবিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। জেলা হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণের জন্য যে ফায়ার এক্সস্টিংগুইসার রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অগ্নি নির্বাপনের প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়েছে।”
জেলা হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা প্রথম নজরে আসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মী বুবাই রাণার। তিনি বলেন, “প্রথমে পোড়া গন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে দেখি পাশের কম্পিউটার বিভাগের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরই আমি হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।” হাসপাতালে আগুন লাগার সময় খেজুরির পিয়ানগরের বাসিন্দা হৃদরোগী বৃদ্ধ বিহারীলাল সেনকে ভর্তির জন্য জরুরি বিভাগে এসেছিলেন তাঁর ছেলে অনুপ সেন। অনুপবাবু বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আমি বাবাকে নিয়ে জেলা হাসপাতালে ঢোকার সময় দেখি লোকজন আগুন লেগেছে বলে চীৎকার করছে। জরুরি বিভাগে ঢুকে দেখি গোটা চত্বর ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রথমে কিছুটা আতঙ্কে পড়ে যাই। তবে দমকল বাহিনী এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।” হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার খামতির কথা স্বীকার করে জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার স্বপনকুমার ভৌমিক বলেন, “হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ কিছু বিভাগে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। দমকল দফতর হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|