|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
স্রষ্টা নাই, অনুবাদই শেষ সত্য |
বইপোকা |
গ্রন্থনামের বিস্ময়চিহ্নেই বিমোহিত হইয়া গেলাম: টারজান ফিরে এল!, লেখক অদ্রীশ বর্ধন! (লালমাটি)। ‘কিশোর মন’ পত্রিকায় টারজানের গল্প ধারাবাহিক প্রকাশিত হইয়া একদা বিপুল সাড়া জাগাইয়াছিল। তাহা পড়িবার অভিজ্ঞতা হইতে মনে হইল ওই পত্রিকার সংযুক্ত সম্পাদক অদ্রীশ বর্ধন কি তবে টারজান চরিত্রটি লইয়া নূতন গল্প লিখিলেন? না, সূচিপত্র সংশয়ের কুয়াশা কাটাইল। পাঁচটি অ্যাডভেঞ্চার এই গ্রন্থে, ‘টারজানের জঙ্গল বাহিনী’, ‘মাউন্ট মোঙ্গোর বিভীষিকা’, ‘টারজানের জঙ্গুলে গল্প’, ‘সময় পর্যটক টারজান’ এবং ‘টারজান ফিরে এল’। পাঁচটিই, এডগার রাইস বারোজ-এর সুবিখ্যাত টারজান-কাহিনির বঙ্গানুবাদ। কিন্তু গ্রন্থের প্রচ্ছদ, পুস্তানি, আখ্যাপত্র, টাইটল ভার্সো, ব্লার্ব সর্বত্র বড় বড় করিয়া, সচিত্র অদ্রীশ বর্ধনই উপস্থিত। যেন তিনিই টারজানের স্রষ্টা! বারোজ-এর নাম-গন্ধ মিলিয়াছে অনুবাদকের ভূমিকায়। অদ্রীশ লিখিয়াছেন, এই গ্রন্থের একটিমাত্র উদ্দেশ্য, ‘প্রকৃত টারজান যে কি ধরনের ভয়াল ভয়ঙ্কর, তার অ্যাডভেঞ্চার উপাখ্যান উদ্ভট, অবিশ্বাস্য, অলীক মনে হওয়া সত্ত্বেও যে কি পরিমাণ শ্বাসরোধী আর উৎকণ্ঠাময় তা যেন বাংলার টারজান ভক্তরা অস্থিমজ্জায় অনুভব করতে পারে।’ স্বাভাবিক, সুবিখ্যাত পাঠক এবং অনুবাদক মূল স্রষ্টার নাম বিস্মৃত হইবেন কী করিয়া! বারোজ-এর কপিরাইট আর নাই সত্য, কিন্তু তাই বলিয়া টারজান অদ্রীশ বর্ধনের হইয়া যাইতে পারে কি? |
|
|
|
|
|