এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা বহু বছরের। রোজই অনেক দূরের গ্রাম থেকে পানীয় জল আনতে হয় গ্রামের মহিলাদের। গ্রামে পানীয় জলের এমন ভয়ানক সমস্যা মেটাতে ঠিক হয় সাংসদ তহবিলের টাকায় গবীর নলকূপ বসানো হবে। শুনে আশায় বুক বেদেছিলেন গ্রামবাসীরা। এ বার তাহলে পানীয় জলের সমসল্যা মিটকতে চলেছে। আর ভোর হতে না হতেই কলসী, বালতি নিয়ে পানীয় জলের জন্য ভাঙতে হবে না কয়েক ক্রোশ রাস্তা। কিন্তু গোল বেধেছে অন্য জায়গায়। নলকূপ বসানোর জায়গা নিয়েই দেখা দিয়েছে বিবাদ। যেখানে নলকূপ বসানোর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট ছিল সেখানে না বসিয়ে অন্যত্র বসানোয় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ ব্লকের ঘুটিয়ারিশরিফের বাঁশড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কারণে সেকানে গভীর নলকূপ বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় সাংসদ এউইউসি-র তরুণ মণ্ডলের সাংসদ তহবিল থেকে এ জন্য ৮০ হাজার টাকা অনুমোদন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘুটিয়ারিশরিফ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে ওই নলকূপ বসানো হলে কাছেই প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ কয়েক হাজার বাসিন্দা উপকার পেতেন। কিন্তু তা না করে অন্য জায়গায় নলকূপটি বসানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শওকত আলি, সাহাদাত লস্কর, সাকিলা বিবি বলেন, “এলাকায় দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যার কথা সাংসদ তরুণবাবুকে আমরা জানিয়ে একটা নলকূপ বসানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি তা মঞ্জুরও করেন।” তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতি ওই নলকূপ নির্দিষ্ট জায়গায় না বসিয়ে তাদের পছন্দমতো জায়গায় বসিয়েছে।” তরুণবাবু বলেন, “ওই এলাকায় পানীয় জদলের সমস্যা দেনে আমার সাংসদ তহবিল থেকে নলকূপ বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম। শুনেছি যেখানে নলকূপ বসানোর কথা ছিল সেখানে না বসে অন্য জায়গায় বসেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”
অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের পরেশ দাস বলেন, “আমি সবে মাত্র সমিতির দায়িত্ব পেয়েছি। এর আগের সমিতিতে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা থাকলে অবশ্যই পঞ্চায়েত সমিতির তরফে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” বিডিও বুদ্ধদেব দাস বলেন, “এরকম একটি খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করব।” |