|
|
|
|
দক্ষিণ অসমে ক্ষোভ মোবাইল পরিষেবা নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বিএসএনএল পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে দক্ষিণ অসমে। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গায় গ্রাহকরা বলছেন, ফোনে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে সমস্যার। ইন্টারনেটের হাল একই। থ্রি-জি সিমকার্ডের অভাব। সব সময় পাওয়া যায় না ব্রডব্যান্ড মোডেম, ল্যান্ডলাইন সেটও।
শিলচর বিএসএনএল-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শিউপ্রসাদ শুক্লা এ বিষয়ে জানান, শুধু দক্ষিণ অসম নয়, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ধুঁকছে গোটা পূর্বাঞ্চলই। দু’বছর থেকে নতুন জিএসএম যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানে আরও বেশি সংখ্যক মোবাইল টাওয়ার প্রয়োজন।
সিমকার্ড, মোডেম, হ্যান্ডসেট পর্যাপ্ত পরিমাণে না-থাকার বিষয়ে ওই সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ডি সি টিকাদার বলেন, “যে পরিমাণে ওই সব জিনিস চাওয়া হয়, তার পুরোটা আমাদের পাঠানো হয় না।” একইসঙ্গে তিনি জানান, বিশে?ত গ্রামাঞ্চলে একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সে সব জায়গায় মোবাইল পরিষেবার জন্য টাওয়ারগুলিতে জেনারেটর চালিয়ে রাখতে হয়। এ প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল। অনেক এলাকায় ডিজেল নিয়ে যাওয়াও সমস্যার। শহরাঞ্চলে টাওয়ার বসানোর জায়গার অভাব। জায়গা ভাড়া হিসেবে কখনও অনেক বেশি টাকা দাবি করা হয়।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মেনে মোবাইল টাওয়ারগুলি বসানো হয়। ট্রাই-এর তরফে প্রতিনিধিরা নিয়মিত সে সব পরীক্ষা করেন। টাওয়ারগুলির ‘রেডিয়েশন ফ্রিকোয়েন্সি’ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্যও অনেক সময় সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।
২০১৪ সালের মধ্যেই পরিষেবার উন্নতির আশা করছে বিএসএনএল। সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মৃণালকান্তি চক্রবর্তী জানান, সে সময় শ’পাঁচেক মোডেম মিলবে। নতুন টেলিফোন সেটও পাওয়া যাবে।
শিলচরের বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র পুরকায়স্থ এই সমস্যা নিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
 |
|
|