|
|
|
|
সেপটিক ট্যাঙ্কের নোংরা জিআরপি থানায়, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পাশের সেফটিক ট্যাঙ্কের জল চুঁইয়ে ঢুকছে বর্ধমান জিআরপির ভিতর। ডিউটি অফিসারদের বসার জায়গা থেকে লকআপ, সব জায়গাতেই ঢুকেছে ওই নোংরা জল। ফলে দুর্গন্ধের জন্য জিআরপির আশেপাশে কেউই থাকতে পারছেন না। অভিযুক্তদেরও নাকে রুমাল দিয়ে থাকতে হচ্ছে।
|
|
দুর্গন্ধে টেকা দায়। শুক্রবার উদিত সিংহের তোলা ছবি। |
এই ঘটনার পরিবর্তে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে এ দিন বিক্ষোভ দেখায় একটি মানবাধিকার সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি তথা বর্ধমান জেলা জজ আদালতের আইনজীবি পীযূষরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই ঘটনা প্রায়ই ঘটে। গত কয়েক মাস ধরে বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের জিআরপি থানায় ডিউটি অফিসারদের বসার ঘর, আসামিদের লকআপের ভেতর অন্তত ছ’ইঞ্চি গভীর হয়ে মল-মুত্র মিশ্রিত জল জমছে। থানা থেকে বার বার সত্বেও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে না।” এ দিনও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তাদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সমস্যার অবিলম্বে সমাধান না হলে ফের আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন।
এ দিন স্টেশনে গিয়ে দেখা গিয়েছে কয়েকজন অভিযুক্ত ও ধৃত ব্যক্তি রুমাল বা জামার খুটে নাক ঢেকে বসে রয়েছেন। গোটা থানার আনাচে কানাচে বইছে কালচে হলুদ রংয়ের দুর্গন্ধময় জল।
জিআরপির ওসি প্রমথনাথ সাহা বলেন, “কয়েকমাস ধরেই সেফটিক ট্যাঙ্কের নোংরা জল আমাদের থানার ভিতরে ঢুকে পড়ছে। বর্ষায় সমস্যা বেড়েছে। রেলের তরফে এই সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না।” জিআরপির ডিউটি অফিসার আবুল কালামের অভিযোগ, “অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় কাজ করতে করতে আমাদের অনেকেরই বমি পেয়ে যায়।”
বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারি জানান, জিআরপি থানা, বেশ কয়েকটি পুরনো বাড়িরই এই অবস্থা। নতুন নির্মাণের কাজ করতে হবে। তার জন্য সময় লাগছে। ওই জিআরপি থানাকে যাতে অন্য কোনও বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই নিয়ে তিনি জিআরপির সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|