স্বপ্নাদেশে শুরু, পুজো আশারই
কোথাও খেলার ছলে, কোথাও আবার স্বপ্নাদেশে। শিল্পাঞ্চলে নানা লক্ষ্মীপুজো চালুর পিছনে কথিত রয়েছে এমন বিভিন্ন গল্প।
১০২ বছর আগে বারাবনির মনোহরবহাল গ্রামে শুরু হয় ঘাঁটিবাড়ির পুজো। বেশ কয়েক বছর পুজোর শরিক হয়েছেন তাঁদের দৌহিত্র সাধু পরিবার। তাঁদের এক সদস্য রূপকুমার সাধু জানান, মামারবাড়ি ঘাঁটি বাড়িতে এই পুজো শুরু সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে। কথিত রয়েছে, এই বাড়ির দুই বৃদ্ধা খেলার ছলে পুজো শুরু করেছিলেন। তার অল্প দিন অতিক্রান্ত হতেই পরিবারের অপ্রত্যাশিত লক্ষ্মীলাভ হয়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ফুলেফেঁপে ওঠে। সেই থেকেই সাড়ম্বরে পুজো শুরু। এখন এলাকায় ঐতিহ্যবাহী পুজো হিসেবে পরিচিত এই লক্ষ্মীপুজো। পুজোর পর দিন গ্রামের মানুষকে ভোগ খাওয়ানো হয়।
খান্দরায় সিংহবাড়ি।
অন্ডালের খান্দরায় সিংহবাড়ির পুজো শুরু হয়েছে ১৫৬ বছর আগে। মুর্শিদাবাদ থেকে এই পরিবারের পূর্বপুরুষ সুধাকৃষ্ণ সিংহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে খান্দরায় এসেছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভূত সম্পত্তি লাভের আশায় সুধাকৃষ্ণবাবু লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন। পুজোর তিন দিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এলাকার খুদে ও বড় শিল্পীরা।
আসানসোলের ঘাঁটি পরিবারের পুজো ৭৬ বছরে পড়ল। স্থায়ী মন্দিরে এই পুজোয় সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিমা বির্সজনের পরে আবার খড়ের কাঠামোয় সারা বছর নিত্যপুজো হয়। আসানসোলের গাড়ুই গ্রামের ষোলআনা পুজোও এলাকায় বেশ জনপ্রিয়।
ঘাঁটিদের পুজো।
রানিগঞ্জের হিলবস্তির ৮৫ বছরের পুজো শুরু করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। এক দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এলাকায় মিলনমেলার চেহারা নেয়। সিহারসোল চাষা পাড়ার পুজো ১০৩ বছরে পা দিল। এই পুজো এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামে বাউরি পরিবারের পুজো ১৫ বছর, ওই গ্রামেরই সূত্রধর বাড়ির পুজো ৫০ বছরের পুরনো। জামুড়িয়ার বাড়ুল গ্রামের পুজোও পঞ্চাশ বছরের বেশি পুরনো। চার বছর আগে পর্যন্ত সেখানে যাত্রা উৎসব হত। এখন অবশ্য তা বন্ধ। সামনের বছর ফের তা চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানান বাড়ির সদস্যেরা।

—নিজস্ব চিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.