আগামী সোমবার সারদা কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৯২৬ জন আমানতকারীর হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪৮ জনের নাম রয়েছে। এঁদের কেউ ৬০০ টাকা কেউবা ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন । ওই দিন কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের সেই টাকা তুলে দেবেন। জেলার ৪৮ জনকে ওই দিন বাসে করে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। বিভিন্ন ব্লক এবং শহর থেকে বাস ছাড়বে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
সারদা কাণ্ড নিয়ে এক সময় শোরগোল পড়ে রাজ্য জুড়ে। এই সংস্থায় অর্থ লগ্নি করে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিস্থিতি দেখে কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। কমিশনের চেয়ারম্যান হন বিচারপতি শ্যামল সেন। মাস খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী একটি তহবিল তৈরির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সারদা কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফিরিয়ে দিতে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করবে সরকার। এই তহবিলের ১৫০ কোটি টাকা আসবে তামাকজাত দ্রব্যের উপর বসানো কর থেকে। এ দিকে, সারদা কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে। পুজোর আগেই এক লক্ষ আমানতকারীর হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই মতো উদ্যোগও শুরু হয়েছে। যাঁরা ১০ হাজার টাকা কিংবা তাঁর কম লগ্নি করেছিলেন, টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে তাঁদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কর্মসূচির পর জোর কদমে টাকা বিলি শুরু হয়ে যাবে। জেলাশাসকের দফতরে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে জেলা প্রশাসন ক্ষতিপূরণের ওই টাকা আমানতকারীদের ফিরিয়ে দেবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের যে ৪৮ জন কলকাতায় যাবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অশোক বাটুল, আভা মহাকুল, আবিনুন বিবি প্রমুখ। অশোকবাবুর বাড়ি আনন্দপুরে, তিনি ২৬০০ টাকা লগ্নি করেছিলেন। আভাদেবীর বাড়ি ঝাড়গ্রামে, তিনি ১৫০০ টাকা লগ্নি করেছিলেন। আবিনুন বিবির বাড়ি দাঁতনে, তিনি ৬০০ টাকা লগ্নি করেছিলেন। ১০ হাজার টাকা করে লগ্নি করেছিলেন এ জেলারই সুশান্ত খিলাড়ি, সাকিলা বিবি, দিলীপ মাটিয়া, আভারানি অধিকারী। ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় এঁদেরও নাম রয়েছে।
|