দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলায় ২২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর আগাম জামিনের আবেদন শুক্রবার মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে তরুণ রায়, এন্তাজ আলি, নুরুল ইসলামের মতো কেশপুরের এক সময়ের দাপুটে নেতারাও রয়েছেন।
শীর্ষ আদালতের রায়ে খুশি এই মামলারই অন্যতম অভিযুক্ত গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “আদালতের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। মামলাটা যে সাজানো, সেটা যারা করেছে, তারাও জানে। তবু যত ভাবে অপদস্থ করা যায়, তার চেষ্টা করছে।”
মামলাটি যিনি করেছিলেন, সেই শ্যামল আচার্য এখন যুব তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “কেউ আগাম জামিন পাওয়া মানেই মামলা থেকে অব্যাহতি নয়। খুনিদের শাস্তি হবেই।”
২০০২-এর ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের পিয়াশালায় ৭ তৃণমূল কর্মীকে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে পালাবদলের পরে সুশান্ত ঘোষের আদি-বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার হলে, তা পিয়াশালায় নিহতদের বলে দাবি করে তৃণমূল।
২০১১-র ৫ জুন সুশান্তবাবু-সহ ৪০ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। পরে তদন্তভার পায় সিআইডি। ২০১১-র ২৩ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতে সিআইডি যে চার্জশিট পেশ করে, তাতে ৫৮ জনের নাম ছিল। সুশান্তবাবু-সহ ২২ জন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে ২০ জনই জামিনে-মুক্ত (এক জনের বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে, এক জন মারা গিয়েছেন)।
বাকিরা এখনও পলাতক।
তাঁদের মধ্যে ২২ জন আগাম জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। প্রায় এক বছর আগে তাঁদের গ্রেফতারির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। এ বার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করায় স্বস্তির আবহ সিপিএমে। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “মামলার রায়ে প্রমাণিত, দেশের সর্বোচ্চ আদালতও বুঝতে পেরেছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।”
|