|
|
|
|
পূর্বে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে নতুন মুখ তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষ পদে বড়সড় রদবদল ঘটাল তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৯ জন কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে ৬ জনই নতুন মুখ। এ ছাড়াও বিগত জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের পদে এলেন। আগেই নতুন
সহ-সভাধিপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান।
শুক্রবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলা পরিষদের নবগঠিত বিভিন্ন দফতরের স্থায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়ে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল। জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে বিরোধী বাম সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূলের প্রস্তাবিত সদস্যরা।
জেলা পরিষদের পূর্ত দফতরে তমলুক ব্লক থেকে নির্বাচিত সদস্য সোমনাথ বেরা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে কাঁথি-২ ব্লক থেকে নির্বাচিত মামুদ হোসেন, জনস্বাস্থ্যে খেজুরি থেকে নির্বাচিত পার্থপ্রতিম দাস দায়িত্ব পেয়েছেন। মহিষাদল থেকে নির্বাচিত গত জেলা পরিষদের মৎস্য-প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিক এ বার কৃষি-সেচ দফতরের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন রামনগর-১ ব্লক থেকে নির্বাচিত সদস্য দেবব্রত দাস। বিদ্যুৎ দফতরে ভগবানপুর-২ ব্লক থেকে নির্বাচিত সদস্য প্রদীপ কয়াল, খাদ্য-সরবরাহে ময়না থেকে নির্বাচিত বিমান পণ্ডা, বন ও ভূমি সংস্কার দফতরে পটাশপুর-১ ব্লক থেকে নির্বাচিত মৃণালকান্তি দাস কর্মাধ্যক্ষ পদে এসেছেন। চণ্ডীপুর ব্লক থেকে নির্বাচিত গত জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য এ বারও একই দফতরের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন। ৯ জন কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে সোমনাথ বেরা, পার্থপ্রতিম দাস, দেবব্রত দাস, প্রদীপ কয়াল, বিমান পণ্ডা, মৃণালকান্তি দাস-এই ছ’জন নতুন মুখকে আনা হয়েছে। বিগত জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় এ বার নির্বাচনে জিতলেও তাঁকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিকে বিগত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের একাংশের কাজের মূল্যায়ন ও আসন সংরক্ষণের কারণে আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে অনেককে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সভায় শিশিরবাবু বলেন, “জেলার উন্নয়নের কাজে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তিনটি স্তরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে কাজের পরিকল্পনা করে তা দ্রুত রূপায়ণ করতে হবে।” শিশিরবাবু এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি দফতরের কাজের বিষয়ে স্থায়ী সমিতিতে যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বা নতুন নির্দেশিকা আসবে সে বিষয়ে সমস্ত নথিপত্র স্থায়ী সমিতির ও সাধারণ সদস্যদের দিতে হবে। কোনও কিছু গোপন করা চলবে না। বিরোধীদের মর্যাদা দিয়ে তাঁদের গঠনমূলক মতামত গ্রহণ করতে হবে।” |
|
|
|
|
|