নিম্নমানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো এবং পরে তা বদলে দেওয়ার অভিযোগে এম এস কোম্পানিজ-এর নামে মামলা রুজু করল পুলিশ। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ করলে প্রধাননগর থানার পুলিশ ওই সংস্থার নামে মামলা করেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “এস জে ডিএ’র তরফে অভিযোগ পেয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
নিরাপত্তার স্বার্থে ৮ কোটি টাকা খরচে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫৫টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। গত বছর পুজোর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা চালুর কথা ঘোষণাও করা হয়। অথচ নিম্নমানের ক্যামেরা বসানো এবং সমস্ত কাজ না করেই সিংহভাগ টাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা এমএস কোম্পানিজ তুলে নেয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও নিজেরা তদন্ত করবেন বলে জানান। এই পরিস্থিতিতে কোথায় কী ক্যামেরা বসানো হয়েছে পুলিশের তরফে তা বুঝিয়ে তাদের হস্তান্তরের জন্য এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সেই মতো এসজেডিএ ঠিকাদার সংস্থাকে শহরের কোথায় তারা কী ক্যামেরা বসিয়েছে যথাযথ ভাবে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গভীর রাতে শহরে নানা জায়গায় বসানো ক্যামেরা বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এসজেডিএ’র একটি সূত্রই জানিয়েছে, আগে ‘বক্স’ আকৃতির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। অনেক জায়গায় চিহ্নিত হলেও সেখানে ক্যামেরা বসানো ছিল না। সম্প্রতি গভীর রাতে বক্স ক্যামেরাগুলি বদলে গোলাকৃতি পিটিজেড ক্যামেরা বসানো হয়। শহরে মোট ৪০ টি ওই ধরনের ক্যামেরা রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরি এবং ৩টি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসাতে ৫০ কোটির দুনীতিতে পুলিশ প্রাক্তন চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী, আপ্তসহায়কদের জেরা করেছে। নন্দিনী কনস্ট্রাকশনের ৩ জন কর্তাকে পুলিশ খুঁজছে। তারা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|