উপনির্বাচনে জিতে ২০০৯ সালে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে প্রথম কোনও বিধানসভা আসনে তৃণমূলের পক্ষে জয় এনেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পরে সেই কৃতিত্বের পুরস্কার হিসাবে তাঁকে রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে নিজের ঘরই রক্ষা করতে পারলেন না। তিনি রাজগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
খগেশ্বরবাবু নিজের বাড়ি যে কেন্দ্রে সেই শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতিলাভাসা গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূল প্রার্থী ৫৩ ভোটে সিপিএমের কাছে হেরে গিয়েছেন। ওই আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতেও হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী। ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকা। তার মধ্যে মাত্র ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় পেয়েছে তৃণমূল। একটি পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং তৃণমূল সমান আসন পেয়েছে। সেখানে কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া তৃণমূলের পক্ষে বোর্ড গড়া সম্ভব নয়।
|
জলপাইগুড়িতে বাম কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ছবি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে মাত্র ১০টিতে জিতেছে তৃণমূল। রাজগঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহেন্দ্র রায় বলেন, “এই ফলেই প্রমাণ হচ্ছে যে বর্তমানে রাজগঞ্জ বিধানসভার বাসিন্দারা বিধায়ককে প্রত্যাখান করেছেন। বিধায়ক এলাকায় যে ভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছেন, সকলকে হুমকি দিয়েছেন এটা তারই ফল।”
যদিও রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, “বিধানসভায় জোট করে লড়ার পরে পঞ্চায়েত নিজেদের সংগঠন গড়ে তুলতে কিছুটা সময় লেগেছে। আবার বেশ কিছু এলাকায় কংগ্রেস-সিপিএম জোট করে তৃণমূলকে হারিয়েছে। আর বামেদের তো মানুষ বিধানসভাতেই প্রত্যাখান করেছেন। ওনাদের মন্ত্যবের উত্তর দিতে চাই না।”
রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকার অধীনে থাকা ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে বামফ্রন্ট। কংগ্রেস জিতেছে একটিতে। একটিতে কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া তৃণমূলের বোর্ড গড়া সম্ভব নয়। রাজগঞ্জ বিধানসভার মান্তাদরি, মাঝিয়ালি এবং শিকারপুর এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। সুখানি, বারোপেটিয়া, নতুনবস, বেলাকোবা, পাতকাটা এবং জোটের দখলে থাকা পানিকৌড়ি, পাহাড়পুরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বামফ্রন্ট। |