|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত, সরকার চালনায় কংগ্রেসই |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব হেমন্ত সোরেনের হাতে ছাড়লেও সরকারের কাজকর্ম পর্যালোচনা ও সমন্বয় করার দায়িত্বটা নিজেদের হাতেই রাখল কংগ্রেস। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন, পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে রাজ্য শাসনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
রাজ্যের কংগ্রেস-জেএমএম জোট সরকারের পক্ষ থেকে আজ সরকার চালানোর জন্য একটি সাধারণ নূন্যতম কর্মসূচি (কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম) প্রকাশ করা হল। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের সঙ্গে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, ঝাড়খণ্ডের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা বি কে হরিপ্রসাদ প্রমুখ। পরে অবশ্য জয়রাম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্য চালাবেন। তবে কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ পর্যালোচনার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। সেই কমিটিতে প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে। সামনের বছর দেড়েক সময় খুব বেশি নয়। এরই মধ্যে যতটা সম্ভব উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
হরিপ্রসাদ সাংবাদিকদের জানান, সমন্বয় কমিটিতে সব দলের সদস্যরা থাকলেও চেয়ারম্যান হবে কংগ্রেসেরই কেউ। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ রাজ্যে ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, তার দেখভাল করার জন্য বিশেষ মনিটরিং কমিটি তৈরির কথাও জানান হরিপ্রসাদ। রাজ্য-রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ নানা মহলের ধারণা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজের প্রতি নজরদারি চালাতে কংগ্রেস ওই কমিটির নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতেই রাখবে। ফলে হেমন্ত কিংবা জেএমএমকে এক প্রকার চাপেই রাখবে কংগ্রেস।
আজ এখানে সরকারের তরফ থেকে ১৩ দফার সাধারণ নূন্যতম কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে মাওবাদী সমস্যার দিকে। পাশাপাশি কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনিয়োগ ও বনাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীদের ক্ষমতায়ণের মতো একাধিক বিষয়কে কর্মসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, “সাধারণ অভিন্ন নূন্যতম কর্মসূচি মেনেই যে শুধু সরকার কাজ করবে এমনটা নয়। প্রয়োজনে কর্মসূচির বাইরে গিয়েও জরুরি ভিত্তির কাজও করা হবে।” সাধারণ নূন্যতম কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও অবশ্য মন্ত্রিসভা কাদের নিয়ে তৈরি হবে, নির্দলদের মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে কিনা—এসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য আজ করতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রী শুধু জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে।
|
পুরনো খবর: স্পিকার চন্দ্রেশ্বর প্রসাদের ইস্তফা |
|
|
|
|
|