ফের তিনি চমকে দিলেন। যখন বিরোধী দল একজোট হয়ে তাঁর ইস্তফা চাইছিল, তখন তিনি ইস্তফা দেননি। যখন বিরোধী জোট জানিয়ে দিল, তাঁর নেতৃত্বে বিধানসভা চালাতে তাঁদের আপত্তি নেই, ঠিক তার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ সিংহ (গত কাল ভুলবশত চন্দ্রপ্রকাশ লেখা হয়েছিল)।
গত কয়েক দিন ধরেই ইস্তফা না দিয়ে তিনি খবরের শিরোনামে ছিলেন। হেমন্ত সোরেনের সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করার সময় বিধানসভায় স্পিকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদিনই আলোচনা হয়েছে। আবার শুক্রবার সকাল হতে না হতেই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আজও তিনি খবরের কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়ে গেলেন। ইস্তফা দেওয়ারই যদি ছিল তবে আগে দিলেন না কেন? চন্দ্রেশ্বরের কথায়, “আসলে আমি যে নিরপেক্ষ, আগে ইস্তফা দিলে তা প্রমাণ করতে পারতাম না।” এ ছাড়াও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, কালকের পর থেকে, সি পি সিংহ পদ আঁকড়ে থাকার জন্য ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা নিয়েছেন বলে বিজেপি-রই একাংশ প্রচার শুরু করেছিলেন। সেই প্রতারও যে মিথ্যা তা প্রমাণ করারয় দায়ও ছিল বিজেপি-র এই প্রবীণ নেতার।
কাল বিধানসভার ভিতরে খিজরির কংগ্রেস বিধায়ক শাওন লাকরাকে ভোট দানে বিরত রাখার জন্য স্পিকার তথা বিজেপি নেতা চন্দ্রেশ্বরকে অনুরোধ জানান অর্জুন মুণ্ডা। কিন্তু তিনি তাতে কান দেননি। তাতে মুণ্ডা ক্ষুব্ধ হন। চন্দ্রেশ্বর আজ জানান, তিনি নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন। দল ইস্তফা দিতে বলেনি। চন্দ্রেশ্বর সরে যাওয়ার পরে নতুন স্পিকার কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, জেএমএম এর সারঠের বিধায়ক শশাঙ্কশেখর ভোক্তা বিধানসভার নতুন স্পিকার হতে পারেন।
|