টুকরো খবর |
রঞ্জনের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সব পরিকল্পনামাফিক চললে পরের মাসেই রঞ্জনপন্থী এনডিএফবি-র প্রধান রঞ্জন দইমারির সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তি আলোচনা শুরু হতে চলেছে। গত কাল, গুয়াহাটির আবর্ত ভবনে কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী পি সি হালদারের সঙ্গে রঞ্জনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এর আগে জেলের ভিতরে রঞ্জন ও হালদারের মধ্যে বার দশেক দেখা হয়েছে। তখনই রঞ্জন শান্তির পথে হাঁটার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এরপরেই তিনি জামিন পান। আজ প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে হালদার জানান, পরবর্তী পর্যায়ে শান্তি আলোচনা কোন পথে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়েই আলোচনা হল। শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা এনডিএফবির গোষ্ঠী বিভাজন। ১৯৯৪ সাল অবধি ‘বড়ো সিকিওরিটি ফোর্স’ নামে লড়াই চালিয়েছে বড়ো জঙ্গিরা। এরপর তারা এনডিএফবি নাম নেয়। ২০০৮ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরে গোবিন্দ বসুমাতারি ও রঞ্জন পৃথক হয়ে যান। গোবিন্দপন্থীরা ইতিমধ্যেই সংঘর্ষবিরতিতে আছেন। রঞ্জন জেলে থাকার সময়, তাঁর দলের কিছু সদস্যকে নিয়ে সংবিজিৎ পৃথক গোষ্ঠী গড়ে নাশকতা ও তোলাবাজি চালাচ্ছেন। বর্তমান বড়ো স্বশাসিত পরিষদের প্রধান হাগ্রামা মহিলারি ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কোনও একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালালে সার্বিক শান্তি আসবে না। রঞ্জনের সঙ্গীরা এখনও তোলাবাজি চালাচ্ছে। এ বিষয়ে রঞ্জনকে সতর্ক করেন হালদার। রঞ্জন অবশ্য হাগ্রামার অভিযোগকে পাত্তা দিতে চাননি। হালদার জানান, তিনি সব গোষ্ঠীকেই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে চান। তিনি রঞ্জনের কাছে তাঁর দলের সদস্য ও অস্ত্র সংখ্যার তালিকা চেয়েছেন।
|
ডাকাতি, প্রতারণার দায়ে ধৃত ৪ সিআরপি জওয়ান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ডাকাতির দায়ে ধরা পড়ল চার সশস্ত্র জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি প্রতারণা চক্রের হয়ে ডাকাতিতে হাত মিলিয়েছিল সিআরপির ১৩৮ ব্যাটেলিয়নের ওই জওয়ানরা। সকলেই অসমের উত্তর লখিমপুরে কর্মরত। ইটানগরের এসপি নাবাম গাংতে জানান, গত কাল সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে খবর আসে দৈমুখ থেকে ৬,৮৯,৫০০ টাকা লুঠ করে চার উর্দি পরা রাইফেলধারী সুমোয় চেপে পালাচ্ছে। সেই মতো, রাতে বান্দারদোয়া চেকপোস্টে সুমোটিকে আটকানো হয়। জানা যায়, লুঠেরারা জঙ্গি বা তোলাবাজ নয়, তারা জওয়ান। তাদের কাছ থেকে টাকা ছাড়াও তিনটি একে-৪৭ রাইফেল ৬টি ম্যাগাজিন ও ১৮০ রাউন্ড কার্তুজ, ১০টি মোবাইল ও দু’বোতল মদ আটক করা হয়েছে। ধৃতদের নাম নায়েক সুবেদার আর কে যাদব, রাইফেলম্যান প্রদীপ কুমার, অরুণ সরকার ও পি চান্দু। জেরায় জানা গিয়েছে, তাদের পাঁচ বন্ধু দৈমুখের এক ব্যবসায়ীকে প্রস্তাব দেয়, ছ’লক্ষ টাকা দিলে তার বদলে ৩০ লক্ষ টাকার মেশিন ও ওষুধ দেওয়া হবে। সেই মতো তানাকে একটি জায়গায় টাকা-সহ ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে হানা দিয়ে পরিকল্পনামতো টাকা লুঠ করে পালায় ওই চার জওয়ান। প্রথমে
ঘটনাটিকে জঙ্গি হানা হিসাবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বান্দরদোয়া থানার ওসি এ কে দেব গাড়িটি আটকে জওয়ানদের গ্রেফতার করেন।
|
আদিবাসী তরুণীর মুক্তি চান বিনায়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ার স্কুলশিক্ষক, আদিবাসী তরুণী সোনি সোরির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানালেন বিনায়ক সেন, হিমাংশু কুমার-সহ একাধিক মানবাধিকার কর্মী। শুক্রবার কলকাতায় এক গণ কনভেনশনে তাঁরা এই দাবি তোলেন। পুলিশি হেফাজতে তাঁর উপরে অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবিও তোলেন তাঁরা। সোনি সোরির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, তিনি মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন এবং তাদের কাজকর্মে মদত জুগিয়েছেন। নয়াদিল্লি থেকে পুলিশ সোনি সোরিকে গ্রেফতার করে ২০১১-র ৪ অক্টোবর। সোনি সোরি মুক্তি মোর্চার আয়োজনে ভারত সভা হলে গণ কনভেনশনে বিনায়ক সেন বলেন, “উন্নয়নের নামে সরকার কিছু বহুজাতিক ও দেশীয় সংস্থার হাতে প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দিচ্ছে। যাঁরা এর প্রতিবাদ করছেন তাঁদেরই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে।” এর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হিমাংশু কুমার অভিযোগ করেন, সোনি সোরির উপরে অত্যাচার চালান যে পুলিশ সুপার, তাঁকেই পরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার দেওয়া হয়। ওই পুরস্কার ফিরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরএস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। চিকিৎসকেরা সোরির যোনিপথ থেকে দু’টি এবং পায়ু থেকে একটি পাথর বার করেন।”
|
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে হাজত থেকে ফেরার ১৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পুলিশ হাজতের শৌচালয় থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ১৮ জন বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশের নামসাইতে। পুলিশ জানায়, বিচারাধীন বন্দিদের হাজতটি লোহিত জেলার চোংখাম ফাঁড়ির লাগোয়া। আজ সকালে দেখা যায় হাজত খালি। সব বন্দি উধাও! ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে পুলিশের বড়কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। সংশ্লিষ্ট রক্ষীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ জানায় সব রাস্তায় চেক পোস্ট বসিয়ে ও কুকুর ব্যবহার করে পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ফেরার ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জনই একটি গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল। একজন ছিল ইউপিডিএস জঙ্গি। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বড়কর্তাদের মতে, চার ফুট চওড়া একটি সুড়ঙ্গ এক রাতে খোঁড়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
|
বিক্ষোভের জেরে স্থগিত অমরনাথ যাত্রা |
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবার জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। তার জেরে এ দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। প্রায় ১ হাজার তীর্থযাত্রীকে জম্মুর একটি সিআরপি ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় বানিহাল টানেলও। বৃহস্পতিবার রামবন জেলায় একটি বিএসএফ ছাউনিতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। বিএসএফের পাল্টা গুলিতে নিহত হন ৪ জন। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। নিহতদের দেহ নিতে অস্বীকার করে তাঁদের পরিবার।
মন্ত্রী আজাজ খান দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে তাঁরা মৃতদেহ নিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বিএসএফের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলছে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।” রামবনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দেন এক গবেষক।
|
কোকরাঝাড়ে অপহৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন্দুকধারীদের হাতে অপহৃত হলেন দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কোকরাঝাড়ের পূর্ব মালিগাঁও এলাকায়। পুলিশ জানায়, একটি গাড়ি সংস্থার ম্যানেজার মদন ঘোষ ও বঙ্গাইগাঁওয়ের এরিয়া ম্যানেজার সন্দীপ বোরাকে আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চার ব্যক্তি অপহরণ করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পূর্ব মালিগাঁও এলাকায় পুরঞ্জয় বসুমাতারি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সন্দীপবাবু, মদনবাবু ও আরও এক ম্যানেজার, চম্পক ভুঁইঞা মাসিক কিস্তির টাকা তুলতে এসেছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। চম্পকবাবু পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুলিশকে জানান, দু’টি বাইকে এসে চার জঙ্গি প্রথমে গুলি চালায়। তারপর সামনে থাকা সন্দীপ ও মদনবাবুকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। বিসমুড়ি পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
|
ফের গণধর্ষণ দিল্লিতে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বাড়িওয়ালার সঙ্গে ভাড়াটে পরিবারের মতান্তর। তার জেরে গণধর্ষণের অভিযোগ, সেই দিল্লিতেই। বাইশ বছরের তরুণী তাঁর দু’বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসস্টপে। তাঁদের জোর করে তুলে নেওয়া হল গাড়িতে। গাড়িতে ছিল বাড়িওয়ালা, তার শাগরেদরা এবং বাড়িওয়ালার স্ত্রীও। শিশুটিকে কেড়ে নিয়ে বলা হল, মুখ খুললে তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে গাড়ি থেকে। তার পর শুরু হল ধর্ষণ। ধর্ষিতা মা আর শিশুকে ফেলে যাওয়া হল স্বামী দয়ানন্দ হাসপাতালের সামনে। সোমবারের ঘটনা। মহিলা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
|
অনিল ও টিনাকে তলব টুজিতে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টুজি কেলেঙ্কারি মামলায় অনিল অম্বানী ও তাঁর স্ত্রী টিনা-সহ ১৩ জনকে সাক্ষী হিসেবে তলব করল আদালত। ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স টেলিকম লিমিটেড। সংস্থার তিন উচ্চপদস্থ কর্তা আপাতত জামিনে মুক্ত। সিবিআই তাদের আর্জিতে জানায়, কেলেঙ্কারিতে রিলায়্যান্স টেলিকমের জড়িত থাকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করতে অনিল ও টিনার সাক্ষ্য প্রয়োজন। সেই যুক্তি মেনে নিয়েছেন বিচারক ও পি সাইনি।
|
বিপন্মুক্ত গলাকাটা প্রেমিক-প্রেমিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সিনেমা দেখতে দেখতে ঝগড়া করেই গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছিল যোরহাটের দুই ছাত্রছাত্রী। পরে হাসপাতালে তারা পুলিশকে জানান, আত্মহত্যা করতে নয়, সিনেমা দেখতেই হলে গিয়েছিল। হস্টেলে রান্নার কাজের জন্য প্রেমিককে ছুরি কিনতে বলেছিল মেয়েটি। সিনেমা দেখার সময়েই দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। মেয়েটি সেই ছুরি নিজের গলায় চালিয়ে দেয়। এরপর ছেলেটিও নিজের গলা কেটে ফেলে। পাশে কেউ না থাকায় পরের শো-এ জানাজানি হয়।
|
তুরায় ধৃত এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নাগাল্যান্ড থেকে গারো জঙ্গিদের জন্য পাঠানো অস্ত্র-সম্ভার ধরা পড়ল তুরায়। আগাম খবরের ভিত্তিতে ‘সোয়াট’ কম্যান্ডোরা চিনাবাট এলাকায় একটি জিপ থামিয়ে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করে। বিট সাংমা নামে এক পাচারকারী গ্রেফতার হয়। গাড়ি থেকে মেলে তিনটি একে সিরিজের রাইফেল, দু’টি গ্রেনেড লঞ্চার, প্রচুর ম্যাগাজিন। বিট জানায়, জিএনএলএ-এর জন্য অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল।
|
দোষী নাবালক |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসের মধ্যে এক প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছুড়ে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালককে একটি ডাকাতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। বৃহস্পতিবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। গত ১৬ ডিসেম্বর যে বাসে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় সে দিনই ওই বাসেই এক ছুতোরের সর্বস্ব লুট করে তাঁকে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। |
মৃত্যু ধর্ষিতার |
সংবাদসংস্থা • এটাওয়া |
ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে হবু স্ত্রীকেই পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল ভাবী স্বামী। শরীরে ৮০ শতাংশ ক্ষত নিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতলে ভর্তি ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হল তাঁর। |
|