|
|
|
|
মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মানছে না শিবসেনাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লিতে বিরল সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর পরোক্ষ বিরোধিতা করে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। আর সেটা এমন এক দিনে, যে দিন লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মোদীর মধ্যে ভারসাম্য রেখে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর মুখকেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য বড় করে তুলে ধরলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।
গত কাল দিল্লিতে সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরে চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেল মোদীর নেতৃত্বে প্রচার কমিটি ও তার অধীনে আরও ২০টি কমিটির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ দলের নেতা অনন্ত কুমার সাংবাদিক সম্মেলন করে এসে সেই তালিকা ঘোষণা করলেন। যেখানে মোদীর নেতৃত্বে প্রচার কমিটির দিশা নির্দেশকের ভূমিকায় রাখা হয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ী, আডবাণী ও রাজনাথ সিংহকে। যদিও বাজপেয়ী এখন আর সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, কিন্তু প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রীকে খানিকটা আলঙ্কারিক ভাবেই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে। আডবাণীকেও দিশা-নির্দেশকের তালিকায় রেখে প্রবীণ এই নেতাকেও তুষ্ট করা হয়েছে। তা ছাড়া মোদীর সমালোচক মুরলীমনোহর জোশী, সুষমা স্বরাজ, শিবরাজ সিংহ চৌহান, অরুণ জেটলি, বেঙ্কাইয়া নাইডু, নিতিন গডকড়ীর মতো সব শীর্ষ নেতাকেই তাঁর
অধীনে রাখা হয়েছে। অনন্ত কুমার বলেন, “মোদীর নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে যাব।” এরই মধ্যে আজ উদ্ধব ঠাকরে তাঁর দিল্লি সফরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখার পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মোদী কি বিজেপির বিশ্বাসযোগ্য নেতা? জবাবে উদ্ধব বলেন, “বিজেপিতে অনেক বিশ্বাসযোগ্য নেতা রয়েছে। উপযুক্ত সময়ে রাজনাথ সিংহদের সঙ্গে আলোচনা করে তা স্থির করা হবে।”
রাজনাথের উপস্থিতিতে দিল্লিতে এক সম্মেলনে উদ্ধব গুজরাতের শিল্পনীতির অনেক তারিফ করেছেন বটে। কিন্তু যখনই নেতা বাছাইয়ের প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে মোদীর নামে পরোক্ষ বিরোধিতা করেছেন উদ্ধব। আডবাণীর সঙ্গেও আজ দেখা করেন তিনি। আডবাণীরা দল ও সঙ্ঘ নেতাদের বার বার এই কথাটাই বলে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা না হয়েও মোদী যে ভাবে প্রচার করতে শুরু করেছেন, তাতে এখন থেকেই বিতর্ক দানা বাধতে শুরু করেছে। নীতীশ কুমার তো ছেড়েছেনই, এ বার অন্য শরিক শিবসেনাও বাদ সাধছে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে মোদীর নামে আরও শরিক টানতেও অসুবিধা হতে পারে। সে কারণেই মোদীকে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলে নির্বাচনের পরে সরকার গড়ার জন্য শরিক পাওয়া দুষ্কর হবে।
|
পুরনো খবর: মোদীই মুখ, তবে প্রচারের ভার বহু কমিটির |
|
|
|
|
|