মোদীই মুখ, তবে প্রচারের ভার বহু কমিটির
রেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোট পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। আগামিকাল কমিটিগুলি ঘোষণা হওয়ার কথা।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, গোয়ায় মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আদপে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন শীর্ষ নেতার অধীনে ডজনখানেক কমিটি গড়া হবে। যেমন, কোনও কমিটি হয়তো দেখবে ইস্তাহারের বিষয়টি, কোনওটি সামলাবে সোশ্যাল মিডিয়া। লালকৃষ্ণ আডবাণীরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য এই ধরনেরই পৃথক কমিটি তৈরিতে জোর দিচ্ছিলেন। সঙ্ঘের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হাঁটলেন রাজনাথ সিংহরা। এর ফলে বিষয়টা দাঁড়াল যে মোদী দলের ‘পোস্টার বয়’ তথা প্রচার কমিটির প্রধান। কিন্তু তাঁর প্রচারের রূপরেখা তৈরির রাশ সম্মিলিত ভাবে রইল বহু নেতার হাতে।
বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
চলতি বৈঠকে অবশ্য এই প্রস্তাবও উঠেছিল যে, গোটা দেশকে অঞ্চলের ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করে সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিদের মতো শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু সেই প্রস্তাব আজ খারিজ হয়ে যায়। অনেকের মত ছিল, এমনিতেই প্রতিটি রাজ্যের দায়িত্ব কোনও না কোনও নেতাকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বও রয়েছে। এর পরে সেখানে শীর্ষ নেতাদের সামিল করা অনর্থক। বরং এই নেতাদের অন্য কোনও কাজে সামিল করলে লাভ হতে পারে। এক শীর্ষ নেতা জানান, “দলের প্রচার, ইস্তাহার তৈরি, সভার আয়োজন, বিভিন্ন গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের মতো নানা বিষয় ভোটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দলের সাধারণ সম্পাদকদের হাতে এই ধরনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে।”
সঙ্ঘের ছাড়পত্র পেলেই আগামিকাল কমিটি সংক্রান্ত এই রূপরেখা ঘোষণা করা হবে বলে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য। সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের আগে গত কালই দিল্লি চলে আসেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির যাবতীয় খুঁটিনাটি এখন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটযুদ্ধে ঝাঁপাতে হবে। এই ঐক্যের ছবিটা দেখানোর জন্যই প্রতিটি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে এখন নিয়ম করে আডবাণীর পাশে বসছেন মোদী। আজ বৈঠকের পর আডবাণীর বাড়িতে গিয়ে আলাদা বৈঠকও করেন মোদী। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গেও দেখা করতে যান। তার আগে আজ সকালে মোদীর সঙ্গে দেখা করে আসেন উমা ভারতী। সেই উমা ভারতী, যিনি দলের মধ্যে প্রথম মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সঙ্ঘের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে মোদীও এখন তাঁর বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকের মতে, মোদীকে প্রচারের সর্বময় কর্তৃত্ব না দিয়ে শরিকদের জন্য পথও খোলা রাখছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এর ফলে ভবিষ্যতে মোদীকে নিয়ে আপত্তি উঠলে তাঁরা বলতে পারবেন, প্রচার পর্বের দায়িত্ব মোদীর হাতে নয়, ছিল সম্মিলিত নেতৃত্বের হাতে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.