|
|
|
|
নোটিস শীর্ষ আদালতের |
আদালত অবমাননার দায়ে ক্রেতা সুরক্ষা-কর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিষেবা সংক্রান্ত মামলায় যে-কেউ যাতে আদালতে সওয়াল করতে পারেন, জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে সেই বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পাঁচ মাসেও সেই নির্দেশিকা প্রস্তুত না-হওয়ায় শীর্ষ আদালত ওই কমিশনের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করেছে। শুক্রবার কমিশনের রেজিস্ট্রার এইচ ডি নৌটিয়ালের কাছে নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছে বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও বিচারপতি জে এস খেহারের ডিভিশন বেঞ্চ।
চিকিৎসা অথবা অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিষেবা না-পেয়ে জাতীয়, রাজ্য বা জেলা স্তরের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন অনেকেই। ‘পিপল ফর বেটার ট্রিটমেন্ট’ নামে রোগী-স্বার্থে কর্মরত একটি সংগঠন ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করে। তাতে বলা হয়, জাতীয়, রাজ্য বা জেলা স্তরের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের আইনি সাহায্য পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের প্রচুর খরচ করতে হয়। বহু ক্ষেত্রে সেই সাহায্য পেতে গিয়ে এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবীর খপ্পরেও পড়ে যান অনেকে। এই অবস্থায় আইনজীবী নন, এমন কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপভোক্তার পক্ষ নিয়ে আদালতে সওয়াল করার অনুমতি পেলে মানুষ উপকৃত হবেন।
সুপ্রিম কোর্ট ওই জনস্বার্থ মামলার রায় দেয় ২০১১ সালের ২৯ অগস্ট। সেই রায়েই সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, আইনজীবী নন, এমন কেউ অথবা উপভোক্তার কোনও প্রতিনিধি যাতে আদালতে সওয়াল করতে পারেন, জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনকে সেই ব্যাপারে নতুন নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। কী ভাবে নতুন নিয়ম তৈরি করা যেতে পারে, তার একটি রূপরেখাও ওই রায়ে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
নতুন নির্দেশিকা তৈরি করার জন্য জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় বলা হয়, ওই নির্দেশের পরে পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন এখনও নির্দেশিকা তৈরি করেনি। তার পরেই কমিশন-কর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|