বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল প্রায় সাড়ে সাত মাস আগে। সোমবার তার তদন্ত শুরু করল হেয়ার স্ট্রিট থানা। পুলিশি সূত্রের খবর, বিধানসভার ভিতরে আক্রান্ত হওয়ার পরে এসএসকেএম হাসপাতালে গৌরাঙ্গবাবুর চিকিৎসা করানো হয়। তদন্তের জন্য আগে সেই চিকিৎসার রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে।
২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় তৃণমূলের কয়েক জন বিধায়কের হাতে তিনি এবং তাঁর দলের আর এক বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রম প্রহৃত হন বলে ২৭ জুলাই হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গৌরাঙ্গবাবু। তার ভিত্তিতেই পুলিশ এ দিন ওই অভিযোগকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে গৌরাঙ্গবাবু কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁর উপরে হামলার বিষয়টি তিনি বিধানসভার স্পিকার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি কোনও বিচার পাননি। গত ৮ জুলাই হাইকোর্ট জানায়, বিধানসভা যে-থানার এলাকায় পড়ে, গৌরাঙ্গবাবু সেই থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন। হাইকোর্টের রায় হাতে পেয়ে ওই বিধায়ক হেয়ার স্ট্রিট থানায় শাসক দলের আট জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ২৭ জুলাই অভিযোগ জানান।
লালবাজারের এক কর্তা এ দিন জানান, গৌরাঙ্গবাবু যে-আট জন বিধায়কের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা হলেন জয়ন্ত নস্কর, পুলক রায়, তপন চট্টোপাধ্যায়, সমীর পাঁজা, চন্দ্রনাথ সিংহ, বেচারাম মান্না, মেহমুদা বেগম ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জন রাজ্যের মন্ত্রী। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
|