লেক থানার ব্যারাকে বাড়ছে নজরদারি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ব্যারাকের মধ্যে খোদ পুলিশই যদি নিরাপদে না থাকতে পারে, তা হলে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকবে কী করে? লেক থানা এলাকার পঞ্চাননতলায় পুলিশের ব্যারাকে বহিরাগতদের হামলার ঘটনার পরে এমনই প্রশ্ন উঠছে।পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় রবিবার পঞ্চাননতলার পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হলেও আদালত থেকে ধৃতেরা ওই দিনই জামিন পেয়ে যান। তবে লালবাজারের এক কর্তা জানান, অভিযুক্তেরা আদালত থেকে জামিন পেলেও তাঁদের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে পুরনো দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি লালবাজারের পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ব্যরাকের উপরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ওই ব্যারাকের বাইরে এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে একটি পুলিশ পিকেট ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে লেক থানার পুলিশ জেনেছে, কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকের রান্নাঘর থেকে গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় কয়েক জন যুবক শনিবার বেশি রাতে ব্যারাকের মেসে রাতের খাবার চান। ব্যারাকের রাঁধুনিরা তাঁদের জানান, ওই মেসে বহিরাগতদের খাবার দেওয়া হয় না। তা ছাড়া, রাতের খাবার ফুরিয়ে গিয়েছে। পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, ওই যুবকেরা রাঁধুনিদের জানান, তাঁদের জন্য ফের রান্না চাপাতে হবে। এ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। খাবার না পেয়ে বহিরাগতরা ব্যারাকের ভিতরে একটি পাঁচিলের পাশে প্রস্রাব করতে শুরু করেন। তাঁদের বাধা দেন রাঁধুনিরা। ব্যারাকের পুলিশকর্মীরা এসে হস্তক্ষেপ করে তখনকার মতো গোলমাল মেটান। বহিরাগত যুবকেরা ফিরে গিয়ে পুনরায় দলে ভারী হয়ে ব্যারাকের ভিতর ঢুকে হামলা চালান। ব্যারাকের কর্মীদের কাছ থেকে গোলমালের খবর পেয়ে লেক থানার টহলদারি পুলিশের গাড়ি ব্যারাকে যায় এবং হাতাহাতির অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
|
এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ মিলল। সোমবার, ঠাকুরপুকুরের বীরেন রায় রোডের (পশ্চিম) একটি বাড়ি থেকে। মৃতার নাম ঊষারানি রায় (৭৫)। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধা দোতলা একটি বাড়ির একতলায় থাকতেন। দোতলায় থাকতেন তাঁর ছেলে ও বৌমা। এ দিন একতলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁর ছেলে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার।
|
রবীন্দ্রভারতীতে শ্লীলতাহানি |
ইউনিয়নের কার্যালয়ে ডেকে এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় এমএ দ্বিতীয় বর্ষের বাংলার এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এক দল ছেলে। ইউনিয়নের ঘরে তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। তবে পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন কিছু ঘটলে উপাচার্য ও থানার জানার কথা। বিষয়টি কেউই জানেন না। |