স্কুলবাস দুর্ঘটনায় জখম হওয়া ছাত্রের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি। এমনই দাবি ডিপিএস নিউ টাউনের অধ্যক্ষা সোনালি সেনের। সোমবার তিনি বলেন, “স্কুলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরিকাঠামো আধুনিক মানের। অক্সিজেন-সহ প্রাথমিক চিকিৎসার সব ধরনের ওষুধ রাখা থাকে। প্রশিক্ষিত নার্সই স্কুলে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন।”
অন্য দিকে, ওই ছাত্রের বাবা মৈনাকবাবু বলেন, “ছেলে অনেক ভাল আছে। মাথা একটু ফোলা থাকলেও কালসিটে ভাব প্রায় নেই। দিন কয়েক পরে স্কুলে পাঠাব।” তবে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এখনও অনড় মৈনাকবাবু। তিনি বলেন, “প্রাথমিক চিকিৎসায় স্কুলের গাফিলতি ছিল বলেই সে দিন ছেলে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়।”
সোনালিদেবীর অবশ্য দাবি, সমস্ত জখম ছাত্রদের সঙ্গে মৈনাকবাবুর ছেলের প্রাথমিক চিকিৎসা ঠিক মতোই হয়েছিল। তার আঘাত ছিল সামান্য। সুস্থ অবস্থাতেই ওই ছাত্রকে বাড়ি পাঠানো হয়। নিউ টাউন থানার পুলিশও জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে চিকিৎসায় গাফিলতি মেলেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। পড়ুয়াদের আনার সময়ে লেকটাউনের কাছে একটি বেসরকারি বাস স্কুলবাসটিকে ধাক্কা মারে। সব পড়ুয়াই অল্প-বিস্তর জখম হয়। কারও হাতে লাগে, কারও মাথায়, কারও আবার পায়ে। জখম হয় মৈনাকবাবুর ছেলেও। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দুর্ঘটনার পরে মৈনাকবাবু নিউ টাউন থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর ছেলের ঠিক মতো প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়নি।
সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, তাদের স্কুলে পড়াশোনার পরেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার উপরে। ছাত্রছাত্রীরা যে বাসে যাতায়াত করে, নিয়মিত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেটির হাল পরীক্ষা করানো হয়। পাশাপাশি, যাতায়াতের সময়ে পড়ুয়ারা যেন কোনও অসুবিধায় না পড়ে, সে জন্য বাসে সর্বক্ষণের জন্য থাকেন এক জন শিক্ষিকা। শুধু ফার্স্ট এড রুমেই নয়, স্কুলের ল্যাবরেটরিতেও রাখা থাকে প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ।
সোনালিদেবী বলেন, “এই স্কুলের অনেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক ডাক্তার। ফার্স্ট এড রুমের পরিকাঠামো আরও কী ভাবে উন্নত করা যায়, সে ব্যাপারে তাদেরও পরামর্শ নেওয়া হয়।” তিনি জানান, এর আগে কোনও ছাত্রের গুরুতর কিছু হলে স্কুলের একটু দূরে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত। এখন স্কুলের পাশেই একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
|