প্রেসিডেন্সি কাণ্ডে পুলিশের গাফিলতি ছিল কি না, তা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানী ভবনে কমিশনের সদর দফতরে হাজিরা দেন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং জোড়াসাঁকো থানার ওসি-সহ চার পুলিশকর্মী। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পুলিশের গাফিলতি ছিল কি না, তা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন পুলিশ কমিশনার।
গত ১০ এপ্রিল এক দল বহিরাগত প্রেসিডেন্সির ভিতরে ঢুকে বেকার ল্যাবরেটরিতে ভাঙচুর চালায়। মারধর করা হয় প্রেসিডেন্সির কয়েক জন পড়ুয়াকেও। অভিযোগ ওঠে, ভাঙচুরের ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পরবর্তী কালেও তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। কমিশন সূত্রের খবর, ভাঙচুরের ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করানো হয়। গত ২৭ মে সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন অমলবাবু। কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ কমিশনার ও জোড়াসাঁকো থানার অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। |
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পুলিশ কমিশনার মানবাধিকার কমিশনে আসেন। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্য দুই সদস্য, বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীল ও প্রাক্তন মুখ্যসচিব সৌরীন্দ্রনাথ রায়, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সিপি-র সঙ্গে কথা বলেন। কমিশন সূত্রের খবর, পুলিশের গাফিলতি নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পুলিশ কমিশনারকে। তার উত্তরেই সুরজিৎবাবু এক জন যোগ্য অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা কমিশনকে জানান। পরে জোড়াসাঁকো থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্ত ও এক সাব-ইন্সপেক্টর সাধুচরণ সিংহকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে কমিশন সূত্রের খবর।
|