বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি নিয়ে দুশ্চিন্তা না-কাটলেও গত দু’দিনে ৪০০ পয়েন্ট পতনের রেশ কাটিয়ে উঠল মুম্বই শেয়ার বাজার। সেনসেক্স বৃহস্পতিবার বাড়ল ২৩৩ পয়েন্ট। অন্য দিকে, তিন দিনে ৮২ পয়সা পড়ার পর এ দিন টাকার বাজারও ছিল কিছুটা চাঙ্গা। দিনের শেষে ডলারে টাকা বেড়েছে ৮ পয়সা। প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬০.১৩ টাকা। তবে শুধু চলতি বছরেই ডলারে টাকা পড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। এশীয় মুদ্রাগুলির মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল হয়ে পড়া টাকা বছর শেষেও সামান্যই বাড়বে বলে ইঙ্গিত মিলেছে রয়টার্সের এক সমীক্ষায়।
চলতি খাতে বাড়তে থাকা লেনদেন ঘাটতি এবং আর্থিক সংস্কার নিয়ে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তা রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমি টাকার আশানুরূপ উত্থানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তার কারণ, এর জেরে বিদেশি লগ্নিতে ভাটার টান চলতেই থাকবে। বিনিয়োগকারীদের ভারতের বাজারের প্রতি আকর্ষণ খুব তাড়াতাড়ি আগের পর্যায়ে ফিরবে না বলেই রয়টার্সের এক সমীক্ষায় তাঁরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বুধবারও বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ৭০৫.০৬ কোটি টাকার নগদ শেয়ার বেচেছে। তবে রয়টার্সের ওই সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী এক মাসে ডলারে টাকার দাম বাড়বে। যার জেরে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়াবে ৫৯ টাকা। আগামী ছ’মাসে তা স্পর্শ করবে ৫৮ টাকা। এখন থেকে শুরু করে আগামী এক বছরে তা দাঁড়াবে ৫৭.৫০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ডলারে টাকা ৪ শতাংশের বেশি বাড়বে না। যা বাজরের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ইউরোপীয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক (ইসিবি) এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড অর্থনীতির ভিত আরও জোরালো না-হওয়া পর্যন্ত সুদের হার বাড়াবে না, এই আশাতেই বৃহস্পতিবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে ভারতের শেয়ার বাজার। দিনের শেষে সেনসেক্স ছিল ১৯,৪১০.৮৪ পয়েন্টে। যদিও ভারতের বাজার ওই বৈঠকের আগেই বন্ধ হয়ে যায়। রাতের খবরে জানা গিয়েছে, প্রত্যাশা অনুযায়ী ইসিবি তার সুদের হার ০.৫ শতাংশ থেকে বাড়াচ্ছে না, বরং তা কমতে পারে। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডও তা একই হারে ধরে রাখছে। আমেরিকাও আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প থেকে সরে না-আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসিবি ও ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তের প্রভাব আগামী কাল বাজারে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। |