টুকরো খবর
কংগ্রেসের পুরুত-প্রার্থী
বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১২ নম্বর আসন নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। এই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীণ এই নেতা বেলপাহাড়িতে ‘ভট্চাজ’ নামে বেশি পরিচিত। রাজনীতির বাইরে তাঁর পেশা যজমানি। হেভিওয়েট পুরুতঠাকুর-প্রার্থী সুব্রতবাবুকে ঠেকাতে তৃণমূল এই আসনে দলের ব্লক সভাপতি বনপতি মাহাতোকে প্রার্থী করেছে। বেলপাহাড়িতে তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ধীমান লাহা-ও প্রার্থী হয়েছেন। ধীমানবাবু দলীয় প্রতীক পাননি। তাঁর প্রতীক গোলাপ ফুল। তৃণমূলের ভোট কাটাকুটির খেলায় আখেরে সুব্রতবাবুরই লাভ হবে বলে এলাকায় গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের একাংশ সুব্রতবাবুকে জেতানোর জন্য আড়ালে কলকাঠি নাড়ছেন। স্ক্রুটিনির সময় ওই আসনে সিপিএম প্রার্থী বিকাশ দাসের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়েও নানা কথা শোনা যাচ্ছে। বিকাশবাবু পেশায় পঞ্চায়েতের ঠিকাদার। সেই পরিচয় গোপন করে তিনি কেন সিপিএমের প্রার্থী হতে গেলেন, জানা যায়নি। তবে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্ক্রুটিনির দিন বিকাশবাবুর মনোনয়নপত্র খারিজ করে দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।

নেতাই জয় তৃণমূলের
নেতাই গ্রামের আসনটিতে শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করল তৃণমূল। ওই আসনে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। স্থানীয় স্তরে সমঝোতার ভিত্তিতে সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেসের এক প্রার্থী ছিলেন। সোমবার কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম জানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী স্মরজিৎ রায়ের জয় নিশ্চিত হয়ে গেল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটের লড়াইয়ে নেতাইয়ের আসনে ফল খারাপ হলে মুখ পুড়ত দলের। তাই ওই আসনের কংগ্রেস প্রার্থীকে ‘অনুনয়-বিনয়’ করে সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তমের এক সম্পর্কিত দাদা যিনি তৃণমূল সমর্থক, তিনিই উত্তমকে বোঝানোর দায়িত্ব নেন। নেতাইয়ের বাসিন্দা তথা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় রায় অবশ্য বলেন, “উত্তম মোটেই কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চাননি। সিপিএমের ইন্ধনে উত্তমকে ভুল বুঝিয়ে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।” উত্তম অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পুরনো খবর:
ছড়ায়-গানে ভোটপ্রচার
একাধারে তিনি সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও পত্রলেখক। শিলদার বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির প্রবীণ অকৃতদার গোকুলানন্দ লাহা এ বার কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে নিজের লেখা কবিতা শোনাচ্ছেন এলাকাবাসীকে, ‘তুমি আমার ভোটার ওগো, তুমিই আমার ভোটার। তোমার জোড়া পায়ে প্রণাম, জানাই বার বার।’ দাদাঠাকুরের অনুকরণে গান বেঁধেছেন, ‘ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটাররা, গণতন্ত্রে আস্থা আছে এমন যাহারা। প্রতিনিধি বাছাই করে এ কর্ম সারা। অধিকার প্রয়োগ করে বলো পঞ্চায়েত হ্যায় হামারা।’ ২০০৩ ও ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন গোকুলবাবু। টানা দশ বছর বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। হঠাৎ শিবির বদল কেন? গোকুলবাবুর জবাব, “আমি রাজনীতি বুঝি না। এলাকাবাসীর দাবিতেই আগের পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়খণ্ডী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম। এ বার কংগ্রেস বলল। তাই ওদের হয়ে দাঁড়িয়েছি। তবে সক্রিয় রাজনীতি কোনও দিনই করিনি। মিটিং-মিছিলে যেতে পারব না।”

সই জাল করার নালিশ
সই জাল করে তৃণমূলের লোকেরা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন সিপিএমের এক মহিলা প্রার্থী। দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন সিপিএমের মহিলা প্রার্থী খুকুরানি ভুঁইয়া। তাঁর দাবি, “গত ৫ জুন মনোনয়ন জমা দিই। এরপরই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি আসতে থাকে। ভয় পেয়ে ৭ জুন বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাই। পরে প্রার্থী তালিকায় নাম নেই শুনে খোঁজখবর করে জানতে পারি, আমার সই জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফর্ম জমা দিয়ে চলে গিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা।” মঙ্গলবার দেশপ্রাণের বিডিও সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা দিয়েছেন খুকুদেবী। বিডিও সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সাহায্য চান প্রকাশ
পরিবারের আর্থিক দুর্দশায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রকাশ গিরির। এগরা শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এগরা ঝাটুলাল হাইস্কুলের ছাত্র প্রকাশ গিরি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ৪২৬ (তফসিলি জাতি) র্যাঙ্কে রয়েছেন। ভাল সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে চান প্রকাশ। কিন্তু তিন বছর আগে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। সামান্য জমি চাষ করে সংসার চলে। প্রতিবন্ধী কাকা বাজারে সব্জি বিক্রি করেন। সামান্য সেই আয়ে চলে না যৌথ পরিবার। প্রকাশের কথায়, “জয়েন্টের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ ছিল না। ভাল করে পড়তে পারলে ফল আরও ভাল হত।” ছেলের সাফল্যে গর্বিত হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে মা যমুনাদেবীর।

পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ
পুকুর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার মেচগ্রামের কাছে বাঁশতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রবি মুর্মু (৩৫)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় পীতপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক ব্যক্তির মাছ ধরার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রবি। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে মাছ ধরার কাজে বেরিয়ে যান। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা অবধি বাড়ি না ফেরায় খোঁজখুজি শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে বাঁশতলায় পাঁশকুড়া-ঘাটাল সড়কের ধারে একটি পুকুরে জলে রবির মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম রূপময় তন্তুবায় (১৮)। বাড়ি বাঁকুড়ার রাজগ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘাটাল কলেজের কাছে এক জেরক্স দোকানে কাজ করত ওই যুবক। অঞ্জন মাইতি নামে ওই দোকানের মালিকের বাড়িতেই সে থাকত। মঙ্গলবার সকালে অঞ্জনবাবুর বাড়ির সিলিং ফ্যান থেকে রূপময়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।

মিড-ডে খেয়ে অসুস্থ
মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল গ্রামের শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সুতাহাটার গুয়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপল্লি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এলাকার নিমতলা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল খেতে বসলে এক জনের পাতে আস্ত একটি শুঁয়োপোকা দেখা যায়। এরপরেই পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সদ্যোজাতের দেহ
মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটাল আদালতে চত্বরে একটি সদ্যোজাত শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করে থানায় আনে।

নন্দীগ্রাম নিয়ে রিপোর্ট তলব
নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্ত কত দূর এগোল, তা নিয়ে ২০ জুনের মধ্যে সিবিআই-কে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের গুলি চালানোকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে সিবিআই-এর হাতে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্ট। ছ’বছর কেটে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সুকুমার জানা-সহ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার অভিযোগ করেন, সিবিআই কী তদন্ত করছে, তা এখনও অন্ধকারে! তারা চার্জশিট দেয়নি। বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই-কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.