|
|
|
|
জনভিত্তির হাতিয়ারেই মুখ্যমন্ত্রী পদে সীড্ডা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দলে যোগ দেওয়ার সাত বছরের মধ্যেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আটকাতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের একাংশ। তবু জনভিত্তির জোরেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন তিনি।
তিনি সীড্ডারামাইয়া, একদা কন্নড় রাজনীতিতে দেবগৌড়া ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত মহীশূরের এই ভূমিপুত্র (জমিনি নেতা) আজ পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সম্ভবত পরশু কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
তবে রাজ্যের শীর্ষ স্তরে এই প্রথম বসছেন না সীড্ডা। ন’বছর আগে কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। পরে চলে আসেন কংগ্রেসে। কন্নড় রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে সীড্ডার এগিয়ে থাকার কারণ তাঁর জনভিত্তি। শুধু তাই নয়, দলের গরিষ্ঠ সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন পেয়ে ৫ বছর আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হন এই ওবিসি নেতা।
কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের মতামতও তাঁর পথের কাঁটা দূর করতে পারেনি। ভোটের ফল বেরোনোর পর কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই বলতে শুরু করেন, সীড্ডারামাইয়ার বদলে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। তাঁদের যুক্তি ছিল, খাড়্গেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে কর্নাটকের মসনদে প্রথম কোনও দলিত নেতা বসবেন। |
দলীয় অফিসে সীড্ডা। ছবি: পিটিআই |
যদিও কংগ্রেসের অন্য একটি অংশ বলছে, জাতপাতের বিষয়টি অজুহাত মাত্র। জেডিএস থেকে কোনও নেতা কংগ্রেসে এসে মাত্র সাত বছরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন, এটা অনেকে মেনে নিতে চাইছিলেন না। তার ফলেই সীড্ডার বিরোধী হিসেবে খাড়্গেকে তুলে ধরছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাইকম্যান্ড থেকে কোনও নেতাকে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষপাতী ছিলেন না রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের একটি শীর্ষ সূত্রের খবর, অধিকাংশ বিধায়ক যে সীড্ডাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে চাইছেন, এটা রাহুলের কানে গিয়েছিল। সেই কারণে আজ কর্নাটক কংগ্রেসের দফতরে গোপন ব্যালটে ভোট হয়। পর্যবেক্ষক হিসেবে যান সনিয়া-রাহুলের আস্থাভাজন এ কে অ্যান্টনি ও জিতেন্দ্র সিংহ।
কন্নড় কংগ্রেসের একাংশ যে জেডিএস থেকে আসা সীড্ডাকে মেনে নেবে না, সে কথাও মাথায় রেখেছেন রাহুল। তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, দলের সবাইকে নিয়ে চলার জন্য ইতিমধ্যেই সীড্ডাকে পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল। তিনি মনে করছেন, কর্নাটকে সুস্থির রাজনৈতিক বাতাবরণ রাখলে আগামী লোকসভা ভোটে সুবিধা পাবে। এবং রাহুলের এই প্রত্যাশা পক্ষান্তরে সীড্ডার উপরে চাপ সৃষ্টি করবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। কেন?
কর্নাটকে ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৭ টি আসন। বিজেপি-র ১৮টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা ভোটের হিসেবে বিজেপির আসন ১৬টি পর্যন্ত কমতে পারে। এটা নিশ্চিত করাটাই সীড্ডার কাছে প্রত্যাশা করছেন নেতারা। কারণ, অন্ধ্রে আসন হারানোর ঘাটতি পূরণেই কর্নাটককে পাখির চোখ করতে চায় কংগ্রেস।
|
পুরনো খবর: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে টানাটানিতে আশঙ্কা রাহুলের |
|
|
|
|
|