পণ্য সাজিয়ে বসবেন তেমন জায়গা মিলছে না। অগত্যা রাজ্য সড়কের পাশে দোকান খুলে বসতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। খেতের শাক-সব্জি নিয়ে সেখানেই ভিড় করছেন চাষিরা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের সাহাপুরহাট এ ভাবেই চলছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুরনো ওই হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কিন্তু হাটের নির্দিষ্ট জমি না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। গোয়ালপোখর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিতা পাল সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “হাটের জমির সমস্যা আছে। মেটানোর চেষ্টা চলছে।
প্রবীণদের অনেকের দাবি করেন, প্রায় একশো বছর আগে থেকে ছোট্ট একটুকরো জমিতে ওই হাট চলছে। ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওই সামান্য জমিতে আর চলছে না। ব্যবসায়ীদের রাস্তার পাশে দোকান খুলে বসতে হচ্ছে। সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। সেখানে চাকুলিয়া, শ্রীপুর, সোলপাড়া, বিপ্রীত ছাড়াও অনেক দূরের ব্যবসায়ীরা আসেন। ওই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফাঁকা জায়গায় হাট বসছে। নিরাপত্তা বলে কিছু নে। সব্জি, মাছ সবই বিক্রি হয় এখানে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় জলকাদার সমস্যা লেগেই থাকে।
এলাকার রাজ্য সড়কটি ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার জন্য বেঙ্গল-টু-বেঙ্গল’ রাস্তা নামে পরিচিত। ওই রাস্তায় যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে। হাট রাস্তায় উঠে আসায় সাহাপুর এলাকায় যানজয়ের সমস্যাও তীব্র হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তার পাশের দোকান থেকে কেনাকাটা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। হাট ব্যবসায়ী জগদীশ সিংহ বলেন, “হাটের জায়গা না থাকায় রাজ্য সড়কের পাশে দোকান খুলে বসতে হচ্ছে। বড় গাড়িগুলি রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। হাট অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হলে ভাল হত।” |