মাটি কাঁপল সমতলে, সিকিম পাহাড়ে বরফ
মতলে ভূমিকম্প আর সিকিম পাহাড়ে তুষারপাত। ফেব্রুয়ারির শেষে পাহাড়, সমতলে হিমেল বাতাস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের সমতলের একাধিক জেলায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫। উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়িতে ভূমিকম্প অনূভুত হয়েছে। ওই রাতেই উত্তর ও পূর্ব সিকিমে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙেও। সমতলে বৃষ্টি শুরুর পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় কম্পন অনূভুত হয়েছিল। বালুরঘাটের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ছিল ভূকম্পের উৎসস্থল। বাংলাদেশে বিরামপুর এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় কম্পন অনূভূত হয়। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির বেশ কিছু এলাকায় শাঁখ বাজানোর শব্দ শোনা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা ছিল কম্পনের উৎসস্থল। সেখান থেকে প্রায় ১০ কিমি এলাকা জুড়ে কম্পনের তীব্রতা ছিল বেশি। ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।”
মঙ্গলবার রাতে প্রবল তুষারপাত হয় পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু থেকে শুরু করে নাথু লা সীমান্তে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা।
ছাঙ্গু লেকের প্রায় দেড় কিলোমিটার আগে থেকেই ফিরেছে পর্যটকদের গাড়ি ।—নিজস্ব চিত্র।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু থেকে শুরু করে নাথুলা সীমান্তে প্রবল তুষারপাতে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্যাংটক থেকে যাওয়া পর্যটকদের গাড়ি জমে থাকা তুষারের কারণে ছাঙ্গু লেকের প্রায় দেড় কিলোমিটার আগে থেকেই ফিরেছে। কলকাতা থেকে মঙ্গলবার গ্যাংটকে পৌঁছেছেন রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, বাপ্পা শীলরা। বুধবার বিকেলে রঞ্জনবাবু বলেন, “আমাদের মত বেশ কয়েকজন পর্যটক এদিন সকালে ছাঙ্গুতে রওনা হন। ছাঙ্গুর ঢের আগে থেকেই দেখি রাস্তার দু পাশে বরফ জমে রয়েছে। ছাঙ্গুর কাছাকাছি যাওয়ার আগেই রাস্তায় বরফ জমে থাকায় গাড়ি আর যায়নি। গ্যাংটকে ফিরে এসেছি। তবে এত বরফ আগে দেখিনি।”
তুষারপাতের কারণে উত্তর সিকিমেও যান চলাচল বিপর্যস্ত। বুধবার সকালে থেকে ইয়ুংথাম, চুংথামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে গত সপ্তাহের শেষ থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেই ঝঞ্ঝার কারণেই তুষারপাত বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের আকাশ থেকে ক্রমশ অসমের দিকে সরে যেতে থাকা এই ঝঞ্ঝার টানেই জলীয় বাষ্প ভরা হাওয়া পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে আবহাওয়া বিদদের অভিমত। এদিন দুপুরের পর থেকে গ্যাংটকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
তবে এই ঝঞ্ঝাটি অসমের দিকে চলে গেলেও নতুন করে আরও একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীর থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসছে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, বুধবার রাত থেকেই গ্যাংটক সহ সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সমতলেও এই ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ বাবু বলেন, “একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বিদায়ের পরে আরও এক ঝঞ্ঝা উপস্থিত তাই সিকিমে তো বটেই, দার্জিলিঙের পাহাড়ি এলাকাতে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝঞ্ঝা সরে না গেলে অথবা দুর্বল হয়ে না পড়লে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমতলের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি শুরু হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.