বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর দাবি উঠেছে শামুকতলা সিধু কানহু কলেজে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন বছর আগে কলেজ স্থাপন হলেও অনার্স চালু হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের বাইরের কলেজে পছন্দের বিষয়ে অনার্স পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যদিও কলেজ অর্গানাইজিং কমিটির সম্পাদক সচিত্রমোহন চন্দ বলেন, “তিন বছর ধরে সাঁওতালপুর মিশন হাই স্কুলের কয়েকটি ঘরে কলেজের পঠনপাঠন চলছে। নিজস্ব ভবন নির্মাণের টাকা মিললেও জমি নিয়ে সমস্যা থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরিকাঠামোর ওই সমস্যার জন্য অনার্স চালু করা যায়নি।”
সিধু কানহু কলেজ ছাড়া শামুকতলার কাছাকাছি কলেজ রয়েছে ২৫ কিমি দূরে বিবেকানন্দ কলেজ, আলিপুরদুয়ার কলেজ এবং কামাখ্যাগুড়ির ক্ষুদিরাম কলেজ। ওই কলেজগুলিতে অনার্স পড়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সেখানে আসন সংখ্যা কম থাকায় শামুকতলার ছেলেমেয়েরা ভর্তির সুযোগ পায় না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। শামুকতলা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি অমরশঙ্কর সান্যাল বলেন, “শামুকতলা কলেজে অনার্স চালু না হওয়ায় স্থানীয় ছেলেমেয়েদের হয়রানি বেড়েছে। সমস্যার কথা কয়েকবার জানানো হয়েছে।”
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরদিন্দু চক্রবর্তী বাসিন্দাদের দাবির কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “অনার্স কোর্স চালুর দাবি বিভিন্ন মহল থেকে মিলেছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোর সমস্যার জন্য অনুমোদন মিলছে না।” স্থানীয় বিধায়ক দশরথ তিরকি অবশ্য বলেন, “বিধায়ক তহবিল থেকে শামুকতলা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভবন নির্মানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কেন এখনও ওই কাজ শুরু হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।” কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, শামুকতলা কলেজের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩০৫ জন। গত তিন বছর ধরে স্থানীয় সাঁওতাল পুর মিশন হাই স্কুলে অস্থায়ী ভাবে কলেজের পঠনপাঠন চলছে। স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা দফতর ৪৮ লক্ষ, বিধায়ক তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ এবং সাংসদ তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ লক্ষ টাকা কলেজ র্কৃপক্ষ পেয়েছেন। শামুকতলা বস্তি এলাকায় ৫ একর জমিও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেন কলেজের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে না প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোহর তিরকি বলেন, “জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে এটা জানতাম না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” |